38:86 38:88 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
قُلْ
مَاۤ
اَسْـَٔلُكُمْ
عَلَیْهِ
مِنْ
اَجْرٍ
وَّمَاۤ
اَنَا
مِنَ
الْمُتَكَلِّفِیْنَ
۟
اِنْ
هُوَ
اِلَّا
ذِكْرٌ
لِّلْعٰلَمِیْنَ
۟
وَلَتَعْلَمُنَّ
نَبَاَهٗ
بَعْدَ
حِیْنٍ
۟۠

৮৬-৮৮ নং আয়াতের তাফসীর: মহান আল্লাহ বলেন, হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তুমি জনগণের মধ্যে ঘোষণা করে দাওঃ আমি দ্বীনের তবলীগ এবং কুরআনের আহকামের উপর তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাচ্ছি না। এর দ্বারা পার্থিব কোন লাভ আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি এরূপও নই যে, আল্লাহ তা'আলা অবতীর্ণ করেননি অথচ আমি নিজের পক্ষ হতে তা রচনা করবো। বরং আল্লাহ্ তা'আলা আমার কাছে যা কিছু অবতীর্ণ করেছেন তা-ই আমি তোমাদের নিকট পৌছিয়ে দিচ্ছি। তাতে আমি সামান্য পরিমাণও কম-বেশী করি না। এর দ্বারা আমি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেনঃ “হে লোক সকল! যে ব্যক্তি কোন মাসআলা জানে সে যেন জনগণের সামনে তা বর্ণনা করে দেয়। আর যা জানে না সে সম্বন্ধে যেন বলেঃ “আল্লাহই ভাল জানেন।' দেখো, আল্লাহ তাআলা স্বীয়। নবীকেও (আঃ) এ কথাই বলতে বলছেনঃ “যারা মিথ্যা দাবী করে আমি তাদের অন্তর্ভুক্ত নই। এটা তো বিশ্বজগতের জন্যে উপদেশ মাত্র। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “যেন আমি তোমাদেরকে ও যাদের কাছে এটা পৌছে তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করি।” (৬:১৯) অন্য এক আয়াতে আছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “দলসমূহের যে কুফরী করবে তার সাথে জাহান্নামের ওয়াদা রয়েছে। (অর্থাৎ সে জাহান্নামী)।” (১১:১৭) মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ এর সংবাদ তোমরা অবশ্যই জানবে, কিয়ৎকাল পরে। অর্থাৎ আল্লাহর কথার সত্যতা মানুষ সত্বই জানতে পারবে। অর্থাৎ তারা এটা মৃত্যুর পরই এবং কিয়ামত সংঘটিত হওয়া মাত্রই জানতে পারবে। এ সবকিছু মানুষ মৃত্যুর সময় বিশ্বাস করবে এবং কিয়ামতের দিন স্বচক্ষে সবই দেখতে পাবে।