38:45 38:49 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
وَاذْكُرْ
عِبٰدَنَاۤ
اِبْرٰهِیْمَ
وَاِسْحٰقَ
وَیَعْقُوْبَ
اُولِی
الْاَیْدِیْ
وَالْاَبْصَارِ
۟
اِنَّاۤ
اَخْلَصْنٰهُمْ
بِخَالِصَةٍ
ذِكْرَی
الدَّارِ
۟ۚ
وَاِنَّهُمْ
عِنْدَنَا
لَمِنَ
الْمُصْطَفَیْنَ
الْاَخْیَارِ
۟ؕ
وَاذْكُرْ
اِسْمٰعِیْلَ
وَالْیَسَعَ
وَذَا
الْكِفْلِ ؕ
وَكُلٌّ
مِّنَ
الْاَخْیَارِ
۟ؕ
هٰذَا
ذِكْرٌ ؕ
وَاِنَّ
لِلْمُتَّقِیْنَ
لَحُسْنَ
مَاٰبٍ
۟ۙ

৪৫-৪৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা স্বীয় বান্দা ও রাসূলদের (আঃ) ফযীলতের বর্ণনা দিচ্ছেন এবং তাঁদের সংখ্যা গণনা করছেন যে, তাঁরা হলেন হযরত ইবরাহীম (আঃ), হযরত ইসহাক (আঃ) এবং হযরত ইয়াকূব (আঃ)। তিনি বলেন যে, তাঁদের আমল খুবই উত্তম ছিল এবং তারা ছিলেন সঠিক জ্ঞানের অধিকারী। তাঁরা আল্লাহর ইবাদতে খুব মযবূত ছিলেন এবং মহাশক্তিশালী আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদেরকে দুরদর্শিতা ও অন্তদৃষ্টি দান করা হয়েছিল। তাদের দ্বীনের বোধশক্তি ছিল, আল্লাহর আনুগত্যে তারাই ছিলেন অটল এবং সত্যকে তাঁরা দর্শনকারী ছিলেন। তাঁদের কাছে দুনিয়ার কোন গুরুত্ব ছিল না। তারা শুধু আখিরাতের প্রতি খেয়াল রাখতেন। দুনিয়ার প্রতি তাদের কোন ভালবাসা ছিল না এবং সদা-সর্বদা তাঁরা আখিরাতের যিকরে মগ্ন থাকতেন। তাঁরা ঐ সব কাজ করে চলতেন যেগুলো জান্নাতের হকদার বানিয়ে দেয়। জনগণকেও তারা ভাল কাজ করতে উৎসাহিত করতেন। তাই আল্লাহ তাআলা তাদেরকে কিয়ামতের দিন উত্তম পুরস্কার ও ভাল স্থান প্রদান করবেন। আল্লাহর দ্বীনের এই বুযর্গ ব্যক্তিরা আল্লাহর খাঁটি ও বিশিষ্ট বান্দা। হযরত ইসমাঈল (আঃ), হযরত ইয়াসাআ (আঃ) এবং হযরত যুলকিফলও (আঃ) আল্লাহর মনোনীত ও বিশিষ্ট বান্দা ছিলেন। তাদের অবস্থাবলী সূরায়ে আম্বিয়ায় গত হয়েছে। এজন্যে এখানে বর্ণনা করা হলো না। তাদের ফযীলত বর্ণনায় তাদের জন্যে উপদেশ রয়েছে যারা উপদেশ লাভ ও গ্রহণ করতে অভ্যস্ত। আর ভাবার্থ এটাও যে, কুরআন হলো যিকর অর্থাৎ নসীহত বা উপদেশ।