37:171 37:179 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
ولقد سبقت كلمتنا لعبادنا المرسلين ١٧١ انهم لهم المنصورون ١٧٢ وان جندنا لهم الغالبون ١٧٣ فتول عنهم حتى حين ١٧٤ وابصرهم فسوف يبصرون ١٧٥ افبعذابنا يستعجلون ١٧٦ فاذا نزل بساحتهم فساء صباح المنذرين ١٧٧ وتول عنهم حتى حين ١٧٨ وابصر فسوف يبصرون ١٧٩
وَلَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا ٱلْمُرْسَلِينَ ١٧١ إِنَّهُمْ لَهُمُ ٱلْمَنصُورُونَ ١٧٢ وَإِنَّ جُندَنَا لَهُمُ ٱلْغَـٰلِبُونَ ١٧٣ فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍۢ ١٧٤ وَأَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ ١٧٥ أَفَبِعَذَابِنَا يَسْتَعْجِلُونَ ١٧٦ فَإِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَآءَ صَبَاحُ ٱلْمُنذَرِينَ ١٧٧ وَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتَّىٰ حِينٍۢ ١٧٨ وَأَبْصِرْ فَسَوْفَ يُبْصِرُونَ ١٧٩
وَلَقَدْ
سَبَقَتْ
كَلِمَتُنَا
لِعِبَادِنَا
الْمُرْسَلِیْنَ
۟ۚۖ
اِنَّهُمْ
لَهُمُ
الْمَنْصُوْرُوْنَ
۪۟
وَاِنَّ
جُنْدَنَا
لَهُمُ
الْغٰلِبُوْنَ
۟
فَتَوَلَّ
عَنْهُمْ
حَتّٰی
حِیْنٍ
۟ۙ
وَّاَبْصِرْهُمْ
فَسَوْفَ
یُبْصِرُوْنَ
۟
اَفَبِعَذَابِنَا
یَسْتَعْجِلُوْنَ
۟
فَاِذَا
نَزَلَ
بِسَاحَتِهِمْ
فَسَآءَ
صَبَاحُ
الْمُنْذَرِیْنَ
۟
وَتَوَلَّ
عَنْهُمْ
حَتّٰی
حِیْنٍ
۟ۙ
وَّاَبْصِرْ
فَسَوْفَ
یُبْصِرُوْنَ
۟

১৭১-১৭৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ আমি পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও লিপিবদ্ধ করেছি এবং পূর্ববর্তী নবীদের (আঃ) মাধ্যমেও দুনিয়াবাসীকে শুনিয়ে দিয়েছি যে, দুনিয়া ও আখিরাতে আমার রাসূল ও তাদের অনুসারীদের পরিণামই হবে উত্তম। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আল্লাহ্ লিপিবদ্ধ করে রেখেছেনঃ অবশ্যই আমি ও আমার রাসূলরাই জয়যুক্ত থাকবো, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ শক্তিশালী ও মহা পরাক্রমশালী ।”(৫৮:২১) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদেরকে ও মুমিনদেরকে সাহায্য করবো পার্থিব জীবনে এবং যেদিন সাক্ষীরা দণ্ডায়মান হবে।” (৪০:৫১) এখানেও মহান আল্লাহ্ ঐ কথাই বলেনঃ আমার রাসূলদের সাথে আমার এই ওয়াদা হয়ে গেছে যে, অবশ্যই তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। আমি নিজেই তাদেরকে সাহায্য করবো। তুমি তো জান যে, কিভাবে তাদের শত্রুদেরকে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। তুমি মনে রেখো যে, আমার বাহিনীই হবে বিজয়ী। তুমি একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে তাদের ব্যাপারটা দেখতে থাকো। তাদের দেয়া কষ্ট সহ্য করে যাও। তুমি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করতে থাকো যে, কিভাবে আল্লাহ তাদেরকে পাকড়াও করবেন এবং কিভাবে তারা হবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত! তারা নিজেরাও শীঘ্রই তা প্রত্যক্ষ করবে।বড়ই বিস্ময়ের ব্যাপার যে, তারা বিভিন্ন প্রকারের ছোট ছোট আযাবের শিকার হওয়া সত্ত্বেও এখনো বড় আযাবকে অসম্ভব মনে করতে রয়েছে! আর বলছে যে, ঐ আযাব কখন আসবে? তাই তাদেরকে জবাবে বলা হচ্ছেঃ তাদের আঙিনায় যখন শাস্তি নেমে আসবে ওটা তাদের জন্যে খুবই কঠিন দিন হবে। তাদেরকে সেদিন সমূলে ধ্বংস করে দেয়া হবে।সহীহ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) অতি প্রত্যুষে খায়বারের মাঠে উপস্থিত হন। জনগণ অভ্যাসমত চাষের যন্ত্রপাতি নিয়ে শহর হতে বের হয়েছে। হঠাৎ তারা আল্লাহর সেনাবাহিনী দেখে পালিয়ে যায় এবং শহরবাসীকে খবর দেয়। ঐ সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলে ওঠেনঃ “আল্লাহ্ বড়ই মহান। খায়বারবাসীর জন্যে বড়ই বিপদ। যখন আমরা কোন কওমের ময়দানে অবতরণ করি তখন ঐ সতর্কিকৃতদের বড়ই দুর্গতি হয়ে থাকে।”পুনরায় মহান আল্লাহ্ স্বীয় নবী (সঃ)-কে জোর দিয়ে বলেনঃ হে নবী (সাঃ)! কিছুকালের জন্যে তুমি তাদেরকে উপেক্ষা করতে থাকো এবং তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করে যাও। শীঘ্রই তারা নিজেরাও (তাদের দুর্গতি) প্রত্যক্ষ করবে।