امن جعل الارض قرارا وجعل خلالها انهارا وجعل لها رواسي وجعل بين البحرين حاجزا االاه مع الله بل اكثرهم لا يعلمون ٦١
أَمَّن جَعَلَ ٱلْأَرْضَ قَرَارًۭا وَجَعَلَ خِلَـٰلَهَآ أَنْهَـٰرًۭا وَجَعَلَ لَهَا رَوَٰسِىَ وَجَعَلَ بَيْنَ ٱلْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا ۗ أَءِلَـٰهٌۭ مَّعَ ٱللَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ ٦١
اَمَّنْ
جَعَلَ
الْاَرْضَ
قَرَارًا
وَّجَعَلَ
خِلٰلَهَاۤ
اَنْهٰرًا
وَّجَعَلَ
لَهَا
رَوَاسِیَ
وَجَعَلَ
بَیْنَ
الْبَحْرَیْنِ
حَاجِزًا ؕ
ءَاِلٰهٌ
مَّعَ
اللّٰهِ ؕ
بَلْ
اَكْثَرُهُمْ
لَا
یَعْلَمُوْنَ
۟ؕ

আল্লাহ্ তা'আলা বলেন যে, তিনি যমীনকে স্থির ও বাসোপযোগী করেছেন যাতে মানুষ তাতে আরামে বসবাস করতে পারে এবং এই বিস্তৃত বিছানার উপর শান্তি লাভ করে। যেমন অন্য আয়াতে তিনি বলেছেন (আরবি)অর্থাৎ “আল্লাহ্ তিনি যিনি তোমাদের জন্যে যমীনকে করেছেন স্থির ও বাসোপযোগী এবং আসমানকে করেছেন ছাদ।” (৪০:৬৪) আল্লাহ্ তা'আলা ভূ-পৃষ্ঠের উপর নদী-নালা প্রবাহিত করেছেন যা দেশে দেশে পৌছে যমীনকে উর্বর করে দিচ্ছে, যার দ্বারা এতে বাগ-বাগিচা উদ্গত হয় এবং ফসল উৎপন্ন হতে পারে।মহান আল্লাহ্ যমীনকে দৃঢ় করার জন্যে ওর উপর পাহাড়-পর্বত স্থাপন করেছেন, যাতে যমীন নড়া-চড়া ও হেলা-দোলা না করে। তার কি ক্ষমতা যে, একটি লবণাক্ত পানির সমুদ্র এবং আর একটি মিষ্ট পানির সমুদ্র, দুটিই প্রবাহিত হচ্ছে। এ দুটি সমুদ্রের মাঝে কোন দেয়াল বা পর্দা নেই। তথাপি মহাশক্তির অধিকারী আল্লাহ এ দু'টিকে পৃথক পৃথক করে রেখেছেন। না লবণাক্ত পানি মিষ্ট পানির সাথে মিশ্রিত হতে পারে, না মিষ্ট পানি লবণাক্ত পানির সাথে মিলিত হতে পারে। লবণাক্ত পানি নিজের উপকার পৌছাতে রয়েছে এবং মিষ্ট পানিও নিজের উপকার পৌঁছাতে আছে। এর নির্মল ও সুপেয় পানি মানুষ নিজেরা পান করে এবং নিজেদের জন্তুগুলোকে পান করায়। শস্যক্ষেত্র, বাগান ইত্যাদিতেও এ পানি পৌছিয়ে থাকে। এ পানিতে মানুষ গোসল করে এবং কাপড়-চোপড় কেঁচে থাকে। লবণাক্ত পানি দ্বারাও মানুষ উপকার লাভ করে থাকে। এটা চতুর্দিক থেকে পরিবেষ্টিত রয়েছে যাতে বাতাস খারাপ না হয়। অন্য আয়াতেও এ দুটির বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে। যেমন তিনি এক জায়গায় বলেছেন: (আরবি)অর্থাৎ “তিনিই দু'টি সমুদ্রকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্ট, সুপেয় এবং অপরটি লবণাক্ত, খর; উভয়ের মধ্যে রেখে দিয়েছেন এক অন্তরায়, এক অনতিক্রম্য ব্যবধান।” (২৫:৫৩) এ জন্যেই তিনি এখানে বলেছেন: আল্লাহর সাথে অন্য কোন মাবুদ আছে কি যে এসব কাজ করতে পারে? এসব কাজ তারা করতে পারলে তো ইবাদতের যোগ্য তাদেরকে মনে করা যেতো? প্রকৃতপক্ষে মানুষ শুধু অজ্ঞতাবশতঃই গায়রুল্লাহর ইবাদত করে থাকে। অথচ ইবাদতের যোগ্য তো শুধুমাত্র আল্লাহ্ তা'আলাই।