26:153 26:159 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
قالوا انما انت من المسحرين ١٥٣ ما انت الا بشر مثلنا فات باية ان كنت من الصادقين ١٥٤ قال هاذه ناقة لها شرب ولكم شرب يوم معلوم ١٥٥ ولا تمسوها بسوء فياخذكم عذاب يوم عظيم ١٥٦ فعقروها فاصبحوا نادمين ١٥٧ فاخذهم العذاب ان في ذالك لاية وما كان اكثرهم مومنين ١٥٨ وان ربك لهو العزيز الرحيم ١٥٩
قَالُوٓا۟ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلْمُسَحَّرِينَ ١٥٣ مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٌۭ مِّثْلُنَا فَأْتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّـٰدِقِينَ ١٥٤ قَالَ هَـٰذِهِۦ نَاقَةٌۭ لَّهَا شِرْبٌۭ وَلَكُمْ شِرْبُ يَوْمٍۢ مَّعْلُومٍۢ ١٥٥ وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٍۢ فَيَأْخُذَكُمْ عَذَابُ يَوْمٍ عَظِيمٍۢ ١٥٦ فَعَقَرُوهَا فَأَصْبَحُوا۟ نَـٰدِمِينَ ١٥٧ فَأَخَذَهُمُ ٱلْعَذَابُ ۗ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَـَٔايَةًۭ ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ ١٥٨ وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلْعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٥٩
قَالُوْۤا
اِنَّمَاۤ
اَنْتَ
مِنَ
الْمُسَحَّرِیْنَ
۟ۚ
مَاۤ
اَنْتَ
اِلَّا
بَشَرٌ
مِّثْلُنَا ۖۚ
فَاْتِ
بِاٰیَةٍ
اِنْ
كُنْتَ
مِنَ
الصّٰدِقِیْنَ
۟
قَالَ
هٰذِهٖ
نَاقَةٌ
لَّهَا
شِرْبٌ
وَّلَكُمْ
شِرْبُ
یَوْمٍ
مَّعْلُوْمٍ
۟ۚ
وَلَا
تَمَسُّوْهَا
بِسُوْٓءٍ
فَیَاْخُذَكُمْ
عَذَابُ
یَوْمٍ
عَظِیْمٍ
۟
فَعَقَرُوْهَا
فَاَصْبَحُوْا
نٰدِمِیْنَ
۟ۙ
فَاَخَذَهُمُ
الْعَذَابُ ؕ
اِنَّ
فِیْ
ذٰلِكَ
لَاٰیَةً ؕ
وَمَا
كَانَ
اَكْثَرُهُمْ
مُّؤْمِنِیْنَ
۟
وَاِنَّ
رَبَّكَ
لَهُوَ
الْعَزِیْزُ
الرَّحِیْمُ
۟۠

১৫৩-১৫৯ নং আয়াতের তাফসীরসামূদ সম্প্রদায় তাদের নবীকে উত্তর দেয়ঃ ‘তোমার উপর কেউ যাদু করেছে। যদিও এর একটি অর্থ এও করা হয়েছেঃ তুমি তো সৃষ্টদের একজন এবং এর দলীল হিসেবে নিম্নের কবিতাংশটি পেশ করা হয়েছেঃ (আারবি) অর্থাৎ “তুমি যদি আমাদের সম্পর্কে প্রশ্ন কর তবে জেনে রেখো যে, আমরা এই সৃষ্ট মানব জাতির চড়ুই পাখী তুল্য।” কিন্তু প্রথম অর্থটি বেশী প্রকাশমান।এর সাথে সাথেই তারা বললোঃ “তুমি তো আমাদের মতই একজন মানুষ, সুতরাং আমাদের মধ্যে আর কারো উপর অহী না এসে শুধু তোমার উপর অহী আসবে এটা অসম্ভব। এটা তোমার বানানো কথা ছাড়া কিছুই নয়। তুমি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছো এবং আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ করছো। আচ্ছা, আমরা এখন বলি যে, তুমি যদি সত্যিই নবী হও তবে কোন মু'জিযা দেখাও তো দেখি?” ঐ সময় তাদের ছোট বড় সবাই একত্রিত ছিল এবং একবাক্যে তারা হযরত সালেহ (আঃ)-এর কাছে মু'জিযা দেখতে চেয়েছিল। হযরত সালেহ (আঃ) তাদেরকে জিজ্ঞেস করেনঃ “তোমরা কি মুজিযা দেখতে চাও?” তারা উত্তর দেয়ঃ “এই যে আমাদের সামনে বিরাট পাহাড়টি রয়েছে এটা ফাটিয়ে দিয়ে এর মধ্য হতে এরূপ এরূপ রংএর ও এরূপ আকৃতির একটি গর্ভবতী উষ্ট্ৰী বের কর।” তিনি বললেনঃ “আচ্ছা, আমি যদি আমার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করি এবং তিনি তোমাদের আকাঙ্ক্ষিত মুজিযাই আমার হাত দ্বারা দেখিয়ে দেন তবে তোমরা আমাকে নবী বলে স্বীকার করবে তো?” তারা তখন তার কাছে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকার করলো যে, যদি তিনি এ মু'জিযা দেখাতে পারেন তবে তারা অবশ্যই আল্লাহর উপর ঈমান আনবে এবং তাঁকে নবী বলে স্বীকার করে নেবে। হযরত সালেহ (আঃ) তৎক্ষণাৎ নামায শুরু করে দিলেন এবং ঐ মু'জিযার জন্যে আল্লাহ তাআলার নিকট দু'আ করলেন। ঐ সময়ই ঐ পাহাড় কেটে গেল এবং ওর মধ্য হতে ঐ ধরনেরই উষ্ট্ৰী বেরিয়ে আসলো। কিছু লোক তো তাদের অঙ্গীকার অনুযায়ী মুমিন হয়ে গেল, কিন্তু অধিকাংশ লোকই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে কাফিরই রয়ে গেল।তিনি তাদেরকে বললেনঃ “দেখো, একদিন আমার এই উষ্ট্ৰীর পানি পান করার পালা এবং অপরদিন তোমাদের জন্তুগুলোর পানি পান করার পালা থাকলো। সাবধান! তোমরা আমার এ উষ্ট্রর কোন প্রকার অনিষ্ট করবে না, নচেৎ কঠিন শাস্তি তোমাদের উপর আপতিত হবে।” কিছুদিন পর্যন্ত তারা এটা মেনে চললো। উষ্ট্রীটি তাদের মধ্যেই অবস্থান করতে থাকলো। ওটা ঘাস-পাতা খেতো এবং ওর পালার দিন পানি পান করতো। ঐদিন তারা ওর দুগ্ধ পান করে পরিতৃপ্ত হতো। কিন্তু কিছুকাল পর তাদের দুষ্কার্য মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো। তাদের এক বড় অভিশপ্ত ব্যক্তি উষ্ট্ৰীটিকে মেরে ফেলার ইচ্ছা করলো এবং সমস্ত শহরবাসী তাকে সমর্থন করলো। অতঃপর ঐ দুরাচার উজ্জ্বীটির পা কেটে ফেলে ওকে হত্যা করলো। যার ফলে তাদেরকে কঠিনভাবে লজ্জিত হতে হলো। আকস্মিকভাবে তাদের উপর আল্লাহর আযাব আপতিত হলো এবং তাদেরকে গ্রাস করলো। তারা সমূলে ধ্বংস হয়ে গেল। তাদের এই ধ্বংসলীলা পরবর্তী লোকদের জন্যে শিক্ষণীয় বিষয় হয়ে গেল। এরূপ বড় বড় নিদর্শন স্বচক্ষে দেখেও তাদের অধিকাংশ লোকই ঈমান আনয়ন করেনি। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও পরম দয়ালু।