21:24 21:25 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
اَمِ
اتَّخَذُوْا
مِنْ
دُوْنِهٖۤ
اٰلِهَةً ؕ
قُلْ
هَاتُوْا
بُرْهَانَكُمْ ۚ
هٰذَا
ذِكْرُ
مَنْ
مَّعِیَ
وَذِكْرُ
مَنْ
قَبْلِیْ ؕ
بَلْ
اَكْثَرُهُمْ
لَا
یَعْلَمُوْنَ ۙ
الْحَقَّ
فَهُمْ
مُّعْرِضُوْنَ
۟
وَمَاۤ
اَرْسَلْنَا
مِنْ
قَبْلِكَ
مِنْ
رَّسُوْلٍ
اِلَّا
نُوْحِیْۤ
اِلَیْهِ
اَنَّهٗ
لَاۤ
اِلٰهَ
اِلَّاۤ
اَنَا
فَاعْبُدُوْنِ
۟

২৪-২৫ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ঐ লোকগুলি আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে মা'বুদ বানিয়ে রেখেছে, তাদের ইবাদতের উপর কোন প্রমাণ তাদের কাছে নেই। কিন্তু মু'মিনরা যে আল্লাহর ইবাদত করছে তাতে তারা সত্যের উপর রয়েছে। তাদের হাতে উচ্চতর দলীল হিসেবে আল্লাহর কালাম কুরআন বিদ্যমান রয়েছে। এর পূর্ববর্তী অসিমানী কিতাব গুলিতেও এর প্রমাণ মওজুদ রয়েছে, যা সশব্দে তাওহীদের স্বপক্ষে ও কাফিরদের আত্মপূজার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে। যে নবীর উপর যে কিতাব অবতীর্ণ হয়েছে তাতে এই বর্ণনা বিদ্যমান রয়েছে যে, আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ ইবাদতের যোগ্য নয়। কিন্তু অধিকাংশ মুশরিক সত্য হতে উদাসীন হয়ে আল্লাহর কথাকে অস্বীকার করে বসেছে। সমস্ত রাসূলকে তাও হীদের শিক্ষা দেয়ারই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যেমন তিনি বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমার পূর্বে আমি যে সব রাসূল পাঠিয়েছিলাম তাদেরকে জিজ্ঞেস করতো আমি কি তাদের জন্যে দয়াময় (আল্লাহ) ছাড়া অন্যান্য মাবুদ সমূহ নির্ধারণ করেছিলাম যে, তারা তাদেরই ইবাদত করবে?” (৪৩:৪৫) আর এক জায়গায় মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে এমন রাসূল পাঠিয়েছি যে জনগণের কাছে ঘোষণা করে দিয়েছেঃ তোমরা আল্লাহরই ইবাদত করো এবং তাগূতের (শয়তানের) ইবাদত হতে দূরে থাকো।” (১৬:৩৬) সুতরাং রাসূল ও নবীদের সাক্ষ্যও এটাই এবং স্বয়ং আল্লাহর প্রকৃতিও এরই সাক্ষী। আর মুশরিকদের কোন দলীল প্রমাণ নেই। তাদের সমস্ত হুজ্জত বৃথা। তাদের উপর আল্লাহর গযব পতিত হবে এবং তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।

আপনার Quran.com অভিজ্ঞতা সর্বাধিক করুন!
এখনই আপনার সফর শুরু করুন:

%