১০৮-১১২ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূলকে (সঃ) নির্দেশ দিচ্ছেনঃ তুমি মুশরিকদেরকে বলে দাওঃ আমার কাছে এই ওয়াহী করা হচ্ছে যে, সত্য ও প্রকৃত মাবুদ শুধু আল্লাহ তাআলাই। তোমরা সবাই এটা মেনে নাও। যদি তোমরা আমার কথা না মানে তবে আমরা ও তোমরা পৃথক। তোমরা আমাদের শত্রু এবং আমরা তোমাদের শত্রু। যেমন অন্য জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যদি তারা তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে বলে দাও আমার আমল আমার জন্যে এবং তোমাদের আমল তোমাদের জন্যে, আমি যে আমল করি তা হতে তোমরা মুক্ত এবং তোমরা যে আমল কর তা হতে আমি মুক্ত।" (১০:৪১) আরো বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তুমি যদি কোন কওমের বিশ্বাসঘাতকতা ও চুক্তি ভঙ্গের আশংকা কর তবে তৎক্ষণাৎ তাদেরকে চুক্তি ভঙ্গের খবর দিয়ে দাও।" (৮:৫৮)। অনুরূপভাবে আল্লাহ তাআলা এখানেও বলেনঃ যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তুমি বলে দাওঃ তোমাদের আমাদের মধ্যকার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। তোমরা নিশ্চিতরূপে জেনে রেখো যে, তোমাদের সঙ্গে যে ওয়াদা করা হচ্ছে। তা অবশ্য অবশ্যই পূর্ণ হবে, তা এখনই হোক অথবা বিলম্বেই হোক। আল্লাহ তাআলা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য বিষয় সম্পর্কে সম্যক অবগত। তোমরা যা কিছু প্রকাশ কর এবং যা কিছু গোপন রাখো আল্লাহ তা সবই জানেন। বান্দাদের সমস্ত প্রকাশ্য ও গোপনীয় সংবাদ তার নিকট প্রকাশমান। ছোট, বড়, প্রকাশ্য, অপ্রকাশ্য সবই তিনি জানতে পারেন। খুব সঙ্ঘ ওয়াদা পূরণে বিলম্ব করার মধ্যেও তোমাদের জন্যে একটা পরীক্ষা রয়েছে এবং কিছু কালের জন্যে তোমরা জীবনোপভোগ করবে।রাসূলদেরকে (আঃ) যে দুআ শিক্ষা দেয়া হয়েছিল তা হলো : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের মধ্যে ও আমাদের কওমের মধ্যে ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করুন এবং উত্তম ফায়সালাকারী একমাত্র আপনিই। রাসূলুল্লাহকেও (সঃ) এই প্রকারেরই দুআ'র নির্দেশ দেয়া হয়। রাসূলুল্লাহ (সঃ) যে কোন যুদ্ধে গিয়েই দুআ করতেনঃ হে আমার প্রতিপালক! আপনি ন্যায়ের সাথে ফায়সালা করে দিন। আমরা আমাদের দয়াময় আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি। হে কাফির ও মুশরিকদের দল! তোমরা যা কিছু মিথ্যা আরোপ করছে সে বিষয়ে আমাদের একমাত্র সহায়স্থল তিনিই। তিনিই আমাদের সাহায্যকারী।
০%