20:102 20:104 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
يوم ينفخ في الصور ونحشر المجرمين يوميذ زرقا ١٠٢ يتخافتون بينهم ان لبثتم الا عشرا ١٠٣ نحن اعلم بما يقولون اذ يقول امثلهم طريقة ان لبثتم الا يوما ١٠٤
يَوْمَ يُنفَخُ فِى ٱلصُّورِ ۚ وَنَحْشُرُ ٱلْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍۢ زُرْقًۭا ١٠٢ يَتَخَـٰفَتُونَ بَيْنَهُمْ إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا عَشْرًۭا ١٠٣ نَّحْنُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُونَ إِذْ يَقُولُ أَمْثَلُهُمْ طَرِيقَةً إِن لَّبِثْتُمْ إِلَّا يَوْمًۭا ١٠٤
یَّوْمَ
یُنْفَخُ
فِی
الصُّوْرِ
وَنَحْشُرُ
الْمُجْرِمِیْنَ
یَوْمَىِٕذٍ
زُرْقًا
۟ۚۖ
یَّتَخَافَتُوْنَ
بَیْنَهُمْ
اِنْ
لَّبِثْتُمْ
اِلَّا
عَشْرًا
۟
نَحْنُ
اَعْلَمُ
بِمَا
یَقُوْلُوْنَ
اِذْ
یَقُوْلُ
اَمْثَلُهُمْ
طَرِیْقَةً
اِنْ
لَّبِثْتُمْ
اِلَّا
یَوْمًا
۟۠

১০২-১০৪ নং আয়াতের তাফসীর: হাদীসে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহকে (সঃ) জিজ্ঞেস করা হয় সূর’ বা শিংগা কি জিনিস?” উত্তরে তিনি বলেনঃ “ওটা এমন একটা শিংগা যাতে ফুৎকার দেয়া হবে। ওর বেড় হবে আসমান ও যমীনের সমান। হযরত ইসরাফীল (আঃ) তাতে ফু দিবেন।” অন্য একটি রিওয়াইয়াতে অেিছ যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমি কিরূপে শান্তি লাভ করবো? অথচ শিংগায় ফুৎকারদানকারী শিংগায় মুখ লাগিয়ে কপাল ঝুঁকিয়ে রয়েছেন এবং আল্লাহর হুকুমের শুধু অপেক্ষায় রয়েছেন। জনগণ জিজ্ঞেস করলেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ) ! তাহলে আমরা পাঠ করবো কি?” জবাবে তিনি বললেনঃ “তোমরা পড়তে থাকোঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমাদের জন্যে আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম কর্মকর্তা, আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করেছি।”মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ সেই দিন আমি অপরাধীদের দৃষ্টিহীন অব স্থায় সমবেত করবো। তারা তাদের পরস্পরের মধ্যে চুপি চুপি বলাবলি করবেঃ আমরা দুনিয়ায় মাত্র দশ দিন অর্থাৎ অতি অল্প সময় অবস্থান করেছি। আমি তাদের ঐ গোপন কথাবার্তাও সম্যক অবগত আছি। তাদের মধ্যে যে অপেক্ষাকৃত সৎপথে ছিল সে বলবেঃ আমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলাম। মোট কথা, কাফিরদের কাছে দুনিয়ার জীবন অতি অল্প সময় বলে মনে হবে। ঐ সময় তারা শপথ করে করে বলবেঃ “আমরা তো দুনিয়ায় শুধু এক ঘন্টাকাল কাটিয়েছি। অন্য এক জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি কি তোমাদেরকে শিক্ষা ও উপদেশ গ্রহণ করার মত বয়স প্রদান করেছিলাম না? তোমাদের কাছে তো ভয় প্রদর্শকও এসেছিল?” (৩৫:৩৭)আর এক জায়গায় আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “তোমরা যমীনে কতকাল অব স্থান করেছিলে? (উত্তরে) তারা বলবেঃ “একদিন বা একদিনের কিছু অংশ (আমরা অবস্থান করেছিলাম। আসলে আখেরাতের তুলনায় দুনিয়া এরূপই বটে। কিন্তু তোমরা যদি এটা জানতে বা বুঝতে তবে এই অস্থায়ী জগতকে ঐ স্থায়ী জগতের উপর কখনো প্রাধান্য দিতে না, বরং এই দুনিয়াতেই তোমরা আখেরাতের পূজি সংগ্রহ করে নিতে।