قال له صاحبه وهو يحاوره اكفرت بالذي خلقك من تراب ثم من نطفة ثم سواك رجلا ٣٧
قَالَ لَهُۥ صَاحِبُهُۥ وَهُوَ يُحَاوِرُهُۥٓ أَكَفَرْتَ بِٱلَّذِى خَلَقَكَ مِن تُرَابٍۢ ثُمَّ مِن نُّطْفَةٍۢ ثُمَّ سَوَّىٰكَ رَجُلًۭا ٣٧
قَالَ
لَهٗ
صَاحِبُهٗ
وَهُوَ
یُحَاوِرُهٗۤ
اَكَفَرْتَ
بِالَّذِیْ
خَلَقَكَ
مِنْ
تُرَابٍ
ثُمَّ
مِنْ
نُّطْفَةٍ
ثُمَّ
سَوّٰىكَ
رَجُلًا
۟ؕ

উত্তরে তাকে তার বন্ধু বলল, ‘তুমি কি তাঁকে অস্বীকার করছ, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে ও পরে বীর্য হতে এবং তারপর পূর্ণাঙ্গ করেছেন মনুষ্য আকৃতিতে? [১]

[১] তার এই ধরনের কথা-বার্তা শুনে তার মু'মিন সাথী তাকে ওয়ায ও নসীহতের ভঙ্গিমায় বুঝাতে লাগল যে, তুমি তোমার সেই স্রষ্টার সাথে কুফরী করছ, যিনি তোমাকে মাটি ও এক ফোঁটা পানি (বীর্যবিন্দু) থেকে সৃষ্টি করেছেন। মানবকুলের পিতা আদম (আঃ)-কে যেহেতু মাটি থেকেই সৃষ্টি করা হয়েছিল, তাই মানুষের মূল হল মাটিই। অতঃপর সৃষ্টির উপাদান হয়েছে বীর্য যা পিতার পৃষ্ঠদেশ থেকে স্খলিত হয়ে মায়ের গর্ভাশয়ে গিয়ে স্থির হয়। সেখানে আল্লাহ নয় মাস পর্যন্ত তার লালন-পালন করেন। অতঃপর তাকে সম্পূর্ণ একজন মানুষরূপে মায়ের পেট থেকে বের করেন। কারো কারো নিকট মাটি থেকে সৃষ্টি হওয়ার অর্থ হল, মানুষ যে খাবার খায়, তা সবই যমীন অর্থাৎ, মাটি থেকে অর্জিত। এই খাবার হতেই সেই বীর্য তৈরী হয়, যা মহিলার গর্ভাশয়ে গিয়ে মানুষ সৃষ্টির মাধ্যম হয়। এইভাবে প্রত্যেক মানুষের মূল উপাদান মাটিই বিবেচিত হয়। অকৃতজ্ঞ মানুষকে তার (সৃষ্টির) মূল সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তার স্রষ্টা এবং প্রতিপালকের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানো হচ্ছে যে, তুমি তোমার প্রকৃত স্বরূপ এবং মৌলিক উপাদানের ব্যাপারে চিন্তা কর। তাঁর এই সমস্ত অনুগ্রহের প্রতি লক্ষ্য কর যে, তিনি তোমাকে কি থেকে কি বানিয়ে দিয়েছেন। এই সৃষ্টি করার কাজে কেউ তাঁর শরীক ও সাহায্যকারী নেই। এ সব কিছুই করেছেন কেবল সেই মহান আল্লাহ, যাঁকে মানতে তুমি প্রস্তুত নও। হায় আফসোস! কত অকৃতজ্ঞ এই মানুষ!