আল্লাহ তাআলা বলেনঃ হে মুহাম্মদ (সঃ)! আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বুঝবার জন্যে দুনিয়ায় ঘোষণা করে দাওঃ যদি ভূ-পৃষ্ঠের সমুদ্র সমূহের সমস্ত পানিকে কালি বানানো হয়, অতঃপর আল্লাহর গুণাবলীর বাক্যসমূহ তার ক্ষমতার প্রকাশ, তার গুণাবলীর কথা এবং তার নিপুণতার কথা লিখতে শুরু করা হয়, তবে এই সমুদয় কালি শেষ হয়ে যাবে, তথাপি তার প্রশংসা ও গুণাবলীর বর্ণনা শেষ হবে না। যদিও আবার আরো এইরূপ সমুদ্র আনয়ন করা হয়, এরপর আবারও আনয়ন করা হয় তবুও সন্ত্র নয় যে, আল্লাহর ক্ষমতা, তার নৈপুণ্য এবং তার দলীল প্রমাণাদির বর্ণনা শেষ হবে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেছেনঃ (আরবী)অর্থাৎ সমগ্র জগতে যত বৃক্ষ রয়েছে, যদি তা সমস্তই কলম হয় আর এই যে সমুদ্র রয়েছে, তা ব্যতীত এইরূপ আরো সাতটি সমুদ্র (কালির স্থল) হয়, তবুও আল্লাহর (গুণাবলীর) বাক্যসমূহ সমাপ্ত হবে না; নিঃসন্দেহে আল্লাহ প্রবল পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।" (৩১:২৭)।সমস্ত মানুষের জ্ঞান আল্লাহ তাআলার জ্ঞানের তুলনায় ততটুকু, যতটুকু সমুদ্রের পানির একটি ফোটা ওর সমস্ত পানির তুলনায়। সমস্ত গাছের কলমগুলি লিখতে লিখতে শেষ হয়ে যাবে, সমুদ্রের পানির সমস্ত কালি নিঃশেষ হয়ে যাবে, তথাপি আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও গুণাবলীর বাক্য সমূহ তেমনই থেকে যাবে যেমন ছিল। তাঁর গুণাবলী ও প্রশংসা অপরিমিত ও অসংখ্য। কে এমন আছে যে, আল্লাহর সঠিক ও পূর্ণ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে ওয়াকিফহাল হতে পারে? এমন কে আছে যে, তার পূর্ণ প্রশংসা ও গুণকীর্তণ করতে পারে? নিশ্চয় আমাদের প্রতিপালক ঐরূপই যেরূপ তিনি নিজে বলেছেন। আমরা তার যতই প্রশংসা করি না কেন তিনি তার বহু উর্ধ্বে। এটা স্মরণ রাখার দরকার যে, সারা দুনিয়ার তুলনায় একটি সরিষার দানী যেমন, জান্নাত ও আখেরাতের নিয়ামতরাজির তুলনায় সারা দুনিয়ার নিয়ামত ঠিক তেমনই।