یٰصَاحِبَیِ
السِّجْنِ
اَمَّاۤ
اَحَدُكُمَا
فَیَسْقِیْ
رَبَّهٗ
خَمْرًا ۚ
وَاَمَّا
الْاٰخَرُ
فَیُصْلَبُ
فَتَاْكُلُ
الطَّیْرُ
مِنْ
رَّاْسِهٖ ؕ
قُضِیَ
الْاَمْرُ
الَّذِیْ
فِیْهِ
تَسْتَفْتِیٰنِ
۟ؕ

এখন আল্লাহর মনোনীত বান্দা হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর কারা-সঙ্গীদ্বয়কে তাদের স্বপ্নের তাৎপর্য বলে দিচ্ছেন। কিন্তু কার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কি তা তিনি নির্দিষ্ট করে বলে দিচ্ছেন না, যাতে তাদের একজন দুঃখিত না হয় এবং মৃত্যুর পূর্বেই মৃত্যুর বোঝা তার উপর চেপে না বসে। বরং তিনি অস্পষ্টভাবেই তাদেরকে বললেনঃ “তোমাদের মধ্যে একজন বাদশাহর সুরা পরিবেশনকারী নিযুক্ত হয়ে যাবে।” এটা আসলে ঐ ব্যক্তির স্বপ্নের তাৎপর্য ছিল, যে নিজেকে আঙ্গুরের রস নিঙড়াতে দেখেছিল। আর যে ব্যক্তি নিজের মাথার উপর রুটি দেখেছিল তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা তিনি এই দিলেন যে, তাকে শূল বিদ্ধ করা হবে এবং পাখি তার মাথার মগজ খাবে। এরপর তিনি বলেনঃ “এটা কিন্তু সংঘটিত হয়েই যাবে। কেননা, যে পর্যন্ত স্বপ্নের তাৎপর্য বর্ণনা করা না হয় সেই পর্যন্ত তা লটকানো অবস্থায় থাকে। আর যখন তার ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়ে যায় তখন তা সংঘটিত হয়েই পড়ে।”কথিত আছে যে, স্বপ্নের তাৎপর্য শুনার পর তারা উভয়ে বলেছিলঃ “আমরা তো আসলে কোন স্বপ্নই দেখি নাই।” তখন তিনি তাদেরকে বলেছিলেনঃ “এখন তো তোমাদের প্রশ্ন অনুযায়ী এর ফল সংঘটিত হয়েই যাবে।” এর দ্বারা জানা গেল যে, কেউ যদি অযথা স্বপ্নের কথা বলে এবং তার তাৎপর্যও বলে দেয়া হয় তখন তার প্রকাশ অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআ’লাই সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।মুআ’বিয়া ইবনু হায়দা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “স্বপ্ন পাখীর পায়ের উপর থাকে (অর্থাৎ উড়ন্ত অবস্থায় থাকে), যে পর্যন্ত না ওর তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়। অতঃপর যখন ওর তাৎপর্য বর্ণনা করা হয় তখন তা সংঘটিত হয়ে যায়।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত আনাস (রাঃ) হতে মারফূ’ রূপে বর্ণিত আছে যে, স্বপ্ন হচ্ছে প্রথম তাৎপর্য বর্ণনাকারীর জন্যে। (এ হাদীসটি আবু ইয়ালা (রঃ) তারঁ মুসনাদে গ্রন্ত্রে বর্ণনা করেছেন)