أنت تقرأ التفسير لمجموعة الآيات 40:4 إلى 40:6
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
٣

৪-৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ সত্য প্রকাশিত হয়ে যাবার পর ওকে না মানা এবং তাতে ক্ষতি সৃষ্টি করা কাফিরদেরই কাজ। হে নবী (সঃ)! এ লোকগুলো যদি ধন-মাল ও মান-মর্যাদার অধিকারী হয়ে যায় তবে তুমি যেন প্রতারিত না হও যে, এরা যদি আল্লাহর নিকট ভাল না হতো তবে তিনি তাদেরকে এই নিয়ামতগুলো কেন দিয়ে রেখেছেন? যেমন মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই তোমাকে বিভ্রান্ত না করে। এটা সামান্য ভোগ মাত্র; অতঃপর জাহান্নাম তাদের আবাস, আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল!” (৩:১৯৬-১৯৭) অন্য এক আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “সামান্য দিন তাদেরকে আমি সুখ ভোগ করতে দিবো, অতঃপর তাদেরকে কঠিন শাস্তির দিকে আসতে বাধ্য করবো।”(৩১-২৪)এরপর আল্লাহ্ তা'আলা স্বীয় নবী (সঃ)-কে সান্ত্বনা দিচ্ছেনঃ হে নবী (সঃ)! লোকেরা যে তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে এ কারণে তুমি দুঃখিত ও চিন্তিত হয়ো না। তোমার পূর্ববর্তী নবীদের (আঃ) অবস্থার প্রতি লক্ষ্য কর যে, তাদেরকেও তাদের কওম অবিশ্বাস করেছিল এবং তাদের প্রতি ঈমান আনয়নকারীদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। হযরত নূহ, যিনি বানী আদমের মধ্যে সর্বপ্রথম রাসল হয়ে এসেছিলেন, জনগণের মধ্যে যখন প্রথম প্রথম প্রতিমা-পূজা শুরু হয় তখন ঐ লোকগুলো তাঁকেও অবিশ্বাস করে এবং তার পরেও যতজন নবী এসেছিলেন তাদেরকেও তাদের উম্মতরা অবিশ্বাস করতে থাকে। এমনকি সবাই নিজ নিজ যামানার নবীকে বন্দী করা ও হত্যা করার ইচ্ছা করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাতে সফলকামও হয় এবং নিজেদের সন্দেহ ও মিথ্যা দ্বারা সত্যকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে চায় এবং সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সত্যকে দুর্বল করে দেয়ার উদ্দেশ্যে বাতিলের সাহায্য করে তার উপর হতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ) দায়িত্বমুক্ত হয়ে যান।” (এ হাদীসটি আবুল কাসেম তিবরানী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)মহামহিমান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ আমি ঐ বাতিলপন্থীদেরকে পাকড়াও করলাম এবং তাদেরকে তাদের বড় পাপ ও ঘৃণ্য হঠকারিতার কারণে ধ্বংস করে দিলাম। এখন তোমরা চিন্তা করে দেখো যে, তাদের উপর আমার শাস্তি কতই না কঠোর ছিল! অর্থাৎ তাদের উপর আমার শাস্তি ছিল অত্যন্ত কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক। এরপর প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ্ বলেনঃ যেমনভাবে তাদের উপর তাদের জঘন্য আমলের কারণে আমার শাস্তি আপতিত হয়েছিল, তেমনিভাবে এই উম্মতের মধ্যে যারা এই শেষ নবী (সঃ)-কে অবিশ্বাস করছে, তাদের উপরও এরূপই শাস্তি আপতিত হবে। যদিও তারা পূর্ববর্তী নবীদেরকে (আঃ) সত্য বলে স্বীকার করে নেয়, কিন্তু যে পর্যন্ত তারা শেষ নবী (সঃ)-এর নবুওয়াতকে স্বীকার না করবে, পূর্ববর্তী নবীদের উপর তাদের বিশ্বাস প্রত্যাখ্যাত হবে। এসব ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের অধিকারী একমাত্র আল্লাহ্।

تعظيم تجربتك مع موقع Quran.com!
ابدأ جولتك الآن:

٠%