واذا قيل لهم امنوا كما امن الناس قالوا انومن كما امن السفهاء الا انهم هم السفهاء ولاكن لا يعلمون ١٣
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ ءَامِنُوا۟ كَمَآ ءَامَنَ ٱلنَّاسُ قَالُوٓا۟ أَنُؤْمِنُ كَمَآ ءَامَنَ ٱلسُّفَهَآءُ ۗ أَلَآ إِنَّهُمْ هُمُ ٱلسُّفَهَآءُ وَلَـٰكِن لَّا يَعْلَمُونَ ١٣
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
٣

ভাবার্থ এই যে, যখন এই মুনাফিকদেরকে সাহাবীদের (রাঃ) মত আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, কিতাবসমূহের উপর এবং রাসূলগণের (আঃ) উপর ঈমান আনতে, মৃত্যুর পর পুনর্জীবন এবং বেহেশত ও দোযখের সত্যতা স্বীকার করতে ও রাসূল (সঃ)-এর আনুগত্য বরণ করতে ভাল কাজ করতে ও মন্দ কাজ হতে বিরত থাকতে বলা হয় তখন এই অভিশপ্ত দলটি এরূপ ঈমান আনাকে নির্বোধদের ঈমান আনা বলে আখ্যায়িত করে থাকে। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) ও অন্যান্য কয়েকজন সাহাবী (রাঃ), রাবী বিন আনাস (রঃ), আবদুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম (রঃ) প্রমুখও এই তাফসীর বর্ণনা করেছেন (আরবি) শব্দটি (আরবি) শব্দের বহুবচন যেমন (আরবি) শব্দের (আরবি) বহুবচন (আরবি) শব্দের বহুবচন (আরবি)এসে থাকে। মূর্খ, দুর্বল অভিমত, স্বল্পজ্ঞান বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং যারা লাভ ক্ষতি মাসলিহাত সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না তাদেরকে বলা হয়। কুরআন মাজীদের এক জায়গায় আছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “তোমরা অল্প বুদ্ধিসম্পন্নদেরকে স্বীয় মাল প্রদান করো না যা আল্লাহ তোমাদের জন্যে জীবন ধারণের উপরকণ করে দিয়েছেন।' (৪:৫) সাধারণ মুফাসৃসিরগণের অভিমত এই যে, এই আয়াতে (আরবি)-এর ভাবার্থ হচ্ছে নারীগণ ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা। ঐ মুশরিকদের উপর এখানেও বিশ্বপ্রভু আল্লাহ জোর দিয়ে বলছেন যে, নির্বোধ তো এরাই, কিন্তু সাথে সাথে তারা এতই গণ্ডমূর্খ যে, নিজেদের নির্বুদ্ধিতার অনুভূতিও রাখে না এবং মূর্খতা ও ভ্রষ্টতা অনুধাবন করতে পারে না। এর চেয়ে বেশী তাদের অন্ধত্ব, দৃষ্টিহীনতা এবং সুপথ থেকে দূরে সরে থাকা আর কি হতে পারে?