كذالك ارسلناك في امة قد خلت من قبلها امم لتتلو عليهم الذي اوحينا اليك وهم يكفرون بالرحمان قل هو ربي لا الاه الا هو عليه توكلت واليه متاب ٣٠
كَذَٰلِكَ أَرْسَلْنَـٰكَ فِىٓ أُمَّةٍۢ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهَآ أُمَمٌۭ لِّتَتْلُوَا۟ عَلَيْهِمُ ٱلَّذِىٓ أَوْحَيْنَآ إِلَيْكَ وَهُمْ يَكْفُرُونَ بِٱلرَّحْمَـٰنِ ۚ قُلْ هُوَ رَبِّى لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْهِ مَتَابِ ٣٠
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
٣

আল্লাহ তাআ’লা স্বীয় নবীকে (সঃ) বলছেনঃ হে মুহাম্মদ! যেমন আমি তোমাকে এই উম্মতের নিকট পাঠিয়েছি যে, তুমি তাদেরকে আমার কালাম পাঠ করে শুনাবে, তেমনই তোমার পূর্বে অন্যান্য রাসূলদেরকেও আমি পূর্ববর্তী উম্মতদের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। তারাও নিজ নিজ উম্মতের কাছে আমার পয়গাম পেীছিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তারা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিল। অনুরূপভাবে তোমাকেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। সুতরাং তোমার মন খারাপ করা উচিত নয়। হাঁ, তবে এই মিথ্যা প্রতিপন্নকারীদের উচিত তাদের পূর্ববর্তীদের পরিণামের প্রতি লক্ষ্য করা যে, কিভাবে আল্লাহ তাদেরকে তছনছ করে দিয়েছিলেন! আর তোমাকে অবিশ্বাস করা তো আমার কাছে তাদেরকে অবিশ্বাস করা অপেক্ষা বেশী অপছন্দনীয়। এখন তাদের উপর কিরূপ শাস্তি বর্ষিত হয় তা তারা দেখতেই পাবে। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ (আরবি) (১৬: ৬৩) এবং আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “ (হে নবী, সঃ)! তোমার পূর্বে রাসূলদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা হয়েছিল, অতঃপর তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করা ও কষ্ট দেয়ার উপর, শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে আমার সাহায্য এসে গিয়েছিল, আর (জেনে রেখোঁরেখো যে, আল্লাহর কথার কোন পরিবর্তন নেই এবং অবশ্যই তোমার কাছে রাসূলের খবর এসে গেছে।” (৬: ৩৪) ভাবার্থ হচ্ছেঃ তাদের এটা লক্ষ্য করা উচিত যে, কিভাবে আল্লাহ তাআ’লা তাঁর অনুগত লোকদেরকে সাহায্য করেছিলেন এবং কি ভাবে তাদেরকে জয়যুক্ত করেছিলেন। আল্লাহ তাআ’লা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তোমার কওমের প্রতি লক্ষ্য কর যে, তারা রহমানকে (দয়াময় আল্লাহকে) অস্বীকার করছে। তারা আল্লাহর এই বিশেষণ ও নামকে মানছেই না। হুদায়বিয়ার সন্ধিপত্র লিখবার সময় মুশরিকরা বাধা দিয়ে বলেঃ “আমরা (আরবি) লিখতে দিবো না। রহমান এবং রাহীম কি তা আমরা জানি না।” পূর্ণ হাদীসটি সহীহ বুখারীতে বিদ্যমান রয়েছে। কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ তোমরা আল্লাহ বলে তাঁকে ডাকো অথবা রহমান বলে ডাকো, তিনি সমস্ত উত্তম নামের অধিকারী।” (১৭: ১১০)হযরত আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “নিশ্চয় আল্লাহ তাআ’লার কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম হচ্ছে আবদুল্লাহ ও আবদুর রহমান।” (এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)আল্লাহ পাক বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে বলে দাওঃ তোমরা যে দয়াময় আল্লাহকে অস্বীকার করছো তিনিই আমার প্রতিপালক। তিনি ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই। তাঁরই উপর আমি নির্ভর করি। আমার প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে। তিনি ছাড়া অন্য কেউ এর হকদার নয়।