undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

এবং তাকে দান করেছিলাম ইসহাক ও ইয়াকুব[১] এবং এদের প্রত্যেককে আমি সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম। পূর্বে নূহকেও সৎপথে পরিচালিত করেছিলাম এবং তার বংশধর[২] দাঊদ, সুলাইমান, আইয়ুব, ইউসুফ, মূসা ও হারুনকেও। আর এভাবে সৎকর্মপরায়ণদেরকে আমি পুরস্কৃত করি।

[১] অর্থাৎ, বার্ধক্যে যখন তিনি সন্তান থেকে নিরাশ হয়ে গিয়েছিলেন। যেমন, সূরা হূদের ১১:৭২-৭৩ নং আয়াতে আছে। অতঃপর পুত্রের সাথে সাথে এমন পৌত্র হওয়ারও সুসংবাদ দিলেন যিনি হবেন ইয়াকূবব (আঃ)। আর এর (ইয়াক্বূবের) অর্থে এ কথাও শামিল আছে যে, তাঁর পশ্চাতে তাঁর সন্তানদের ধারাবাহিকতা চলতে থাকবে। কারণ, এটা عَقَب (পশ্চাৎ) ধাতু থেকে গঠিত।[২] ذُرِّيَّتِهِ তে (তার) সর্বনামের 'মারজা' (পূর্বপদ) কোন কোন মুফাসসির নূহ (আঃ)-কে গণ্য করেছেন। কারণ, এটাই নিকটতম বিশেষ্য। অর্থাৎ, নূহ (আঃ)-এর সন্তানদের মধ্যে দাউদ (আঃ) এবং সুলাইমান (আঃ)-কে। আবার কেউ কেউ (সর্বনামের পূর্ববিশেষ্য) ইবরাহীম (আঃ)-কে গণ্য করেছেন। কারণ, সমস্ত আলোচনাটাই হচ্ছে তাঁর সম্বন্ধে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেবে যে, (লক্ষ্য যদি ইবরাহীম (আঃ) হন) তাহলে 'লূত (আঃ)'-এর নাম এই সূচীতে আসা উচিত ছিল না। কারণ, তিনি ইবরাহীম (আঃ)-এর সন্তানদের আওতায় পড়েন না। তিনি হলেন তাঁর (ইবরাহীম (আঃ)-এর) ভাই 'হারান ইবনে আ-যার'এর ছেলে। অর্থাৎ, ইবরাহীম (আঃ)-এর ভাইপো। আর ইবরাহীম (আঃ) লূত (আঃ)-এর পিতা নন, বরং চাচা। তবে হয়তো অধিকাংশের দিকে লক্ষ্য করে তাঁকেও ইবরাহীম (আঃ)-এর বংশধর বা সন্তানদের মধ্যে গণ্য করে নেওয়া হয়েছে। এর আরো একটি দৃষ্টান্ত কুরআন মাজীদে আছে। যেখানে ইসমাঈল (আঃ)-কে ইয়াক্বূব (আঃ)-এর সন্তানদের পূর্বপুরুষ গণ্য করা হয়েছে। অথচ তিনি তাঁর চাচা ছিলেন। (দ্রষ্টব্যঃ সূরা বাক্বারা ২:১৩৩ নং আয়াত)

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%