আল্লাহ তা'আলা এমন লোকদেরকে একে অপরের বন্ধু বানিয়ে দেন যাদের আমল একই রূপ হয়ে থাকে। সুতরাং এক মুমিন অপর মুমিনের বন্ধু হয়ে থাকে, সে যেমনই হাক এবং যেখানেই থাক না কেন। পক্ষান্তরে এক কাফির অন্য এক কাফিরের বন্ধু হয়ে থাকে সে যেখানেই থাক এবং যেমনই হাক না কেন। ঈমান আশা আকাঙ্ক্ষা ও বাহ্যাড়ম্বরের নাম নয়। এ মত ইবনে জারীর (রঃ) পোষণ করেন। মালিক ইবনে দীনার (রঃ) বলেন, আমি যাবৃরে পড়েছি, আল্লাহ তা'আলা বলেছেন- “আমি মুনাফিকদের প্রতিশোধ মুনাফিকদের দ্বারাই গ্রহণ করবো, তারপর সমস্ত মুনাফিকের প্রতিশোধ গ্রহণ করবো।” এটা কুরআন কারীমেও রয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ “এভাবেই আমি এক যালিমকে অপর যালিমের বন্ধু বানিয়ে দেই।” অর্থাৎ জুিনের যালিমদেরকে মানব যালিমের বন্ধু বানিয়ে দেই। “আর যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকির থেকে উদাসীন থাকে, আমি তার উপর শয়তানকে বিজয়ী করে দেই এবং সদা সর্বদা সে তারই সাথে অবস্থান করতে থাকে।” হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে একটি মারফু হাদীস বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি যালিমের সাহায্য করে, আল্লাহ তাকে তার উপর বিজয়ী করে দেন।” (এই হাদীসটি হাফিয ইবনে আসাকির বর্ণনা করেছেন। ইবনে কাসীর (রঃ) বলেন যে, এ হাদীসটি গারীব) কোন কবি বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এমন কোন হাত নেই যার পরে আল্লাহর হাত থাকে না এবং এমন কোন যালিম নেই যাকে অন্য যালিমের সাথে লেনদেন বা আদান প্রদান করতে হয় না।” আয়াতে কারীমার অর্থ এই দাঁড়ালোঃ যেভাবে আমি ঐ ক্ষতিগ্রস্ত মানবদের বন্ধু তাদেরকে পথভ্রষ্টকারী জ্বিন ও শয়তানদেরকে বানিয়েছি, তেমনিভাবে যালিমদের মধ্য হতে এককে অপরের বন্ধু বানিয়ে দেই এবং একে অপরের দ্বারা ধ্বংস হয়ে যায়। আর আমি তাদের অত্যাচার, দুষ্টামি এবং বিদ্রোহের প্রতিফল একে অপরের দ্বারা প্রদান করিয়ে থাকি।