undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

জুমআ’হ্‌র দিন মদীনায় ব্যবসার মাল আসার কারণে যেসব সাহাবী খুৎবাহ ছেড়ে দিয়ে উঠে গিয়েছিলেন তাঁদেরকে এখানে আল্লাহ তা'আলা ধমক দিচ্ছেন যে, এই সব লোক যখন কোন ব্যবসা ও খেল-তামাশা দেখে তখন ওদিকে ছুটে যায় এবং নবী (সঃ)-কে দণ্ডায়মান অবস্থায় ছেড়ে দেয়। হযরত মুকাতিল ইবনে হিব্বান (রঃ) বলেন যে, ওটা ছিল দাহইয়া ইবনে খালফিয়্যাহ (রাঃ)-এর ব্যবসার মাল। তিনি জুমআ’রহ দিন ব্যবসার মালসহ মদীনায় আগমন করেন এবং খবর প্রচারের উদ্দেশ্যে ঢোল বাজাতে শুরু করেন। তিনি তখন পর্যন্ত মুসলমান হননি।ঢোলের শব্দ শুনে মাত্র কয়েকজন ছাড়া সবাই মসজিদ হতে বেরিয়ে পড়েন। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, মাত্র বারো জন লোক বসে থাকেন এবং বাকী সবাই ঐ বাণিজ্যিক কাফেলার দিকে ছুটে যান। ঐ সময় এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। মুসনাদে আবূ ইয়ালায় হযরত জাবির ইবনে আবদিল্লাহ (রাঃ) হতে যে হাদীসটি বর্ণিত আছে তাতে এও রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “যদি তোমরা সবাই চলে যেতে এবং তোমাদের একজনও বাকী না থাকতো তবে যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! এই উপত্যকা আগুন হয়ে তোমাদের উপর পতিত হতো। “যাঁরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট রয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে হযরত আবূ বকর (রাঃ) এবং হযরত উমার (রাঃ)-ও ছিলেন। এই আয়াত দ্বারা এটাও জানা গেল যে, জুমআ’র খুৎবা দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। সহীহ মুসলিমে হযরত জাবির ইবনে সামরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) জুমআ’'র দিন দু’টি খুৎবাহ পাঠ করতেন, মাঝে বসতেন, কুরআন কারীম তিলাওয়াত করতেন এবং জনগণকে উপদেশ দিতেন। এখানে একথাটিও স্মরণ রাখার বিষয় যে, কারো কারো মতে এটা হলো ঐ সময়ের ঘটনা যখন নবী (সঃ) জুমআ’হর নামাযের পরে খুৎবাহ পাঠ করতেন। মারাসীলে আবি দাউদে রয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) খুৎবাহর পূর্বে জুমআ’হর নামায পড়তেন, যেমন ঈদের নামায পড়া হয়। একদা তিনি খুৎবাহ দিচ্ছিলেন। এমন সময় একটি লোক এসে বললোঃ “দাহিয়্যাহ্ খালফিয়্যাহ (রাঃ) ব্যবসার মাল নিয়ে এসেছে।” একথা শোনামাত্রই কয়েকজন ছাড়া সবাই উঠে যান। এরপর আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি জনগণকে জানিয়ে দাও যে, আখিরাতের সাওয়াব, যা আল্লাহর নিকট রয়েছে তা ক্রয়-বিক্রয় ও খেল-তামাশা হতে বহুগুণে উত্তম। আল্লাহর উপর ভরসা করে অনুমতিযুক্ত সময়ে যে ব্যক্তি রিযক তলব করবে, আল্লাহ তাকে উত্তমরূপে রিযক দান করবেন।

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%