১১৯-১২০ নং আয়াতের তাফসীর: ঈসা (আঃ) যে বিপথগামী ও মিথ্যাবাদী খ্রীষ্টানদের প্রতি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন সে কথারই জবাব দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন, (আরবী) অর্থাৎ আজকের দিনে একত্ববাদীদের একত্ববাদ এবং সত্যবাদীদের সত্যবাদিতা উপকার দেবে। তারা প্রবাহিত নহর বিশিষ্ট জান্নাতে প্রবেশ লাভ করবে। সেখান থেকে না তাদেরকে বের করা হবে, না তারা মুহূর্তের জন্যে জান্নাত পরিত্যাগ করবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন এবং তারাও আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টিই সবচেয়ে বড় কথা।' (৯:৭২) এ আয়াতের সঙ্গে যে হাদীস সম্পর্কযুক্ত রয়েছে তা সত্বরই আসছে। ইবনে আবি হাতিম (রঃ) হযরত আনাস (রাঃ) হতে মারফু’রূপে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন যে, এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- সেই দিন মহা মহিমান্বিত আল্লাহ উজ্জ্বল দীপ্তিমান অবস্থায় প্রকাশিত হবেন এবং বলবেনঃ ‘তোমরা চাও, আমি তোমাদেরকে প্রদান করবো।' তিনি বলেন যে, তখন তারা তাঁর সন্তুষ্টি প্রার্থনা করবে। তিনি তখন কলবেনঃ ‘আমার সন্তুষ্টিই তো তোমাদেরকে আমার ঘরে নিয়ে এসেছে। জনগণ পুনরায় তাঁর সন্তুষ্টি প্রার্থনা করবে। তখন তিনি বলবেনঃ “তোমরা সাক্ষী থাক যে, মহান আল্লাহ তোমাদের প্রতি সন্তুষ্ট রয়েছেন। আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ এটাই হচ্ছে বড় সফলতা (৯:৭২) (এরূপ সফলতা আমি আর কাউকেও প্রদান করি না) মহান আল্লাহ অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ আমলকারীদের এরূপ আমলই করা উচিত (৩৭:৬১) আল্লাহ তাআলা আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ এ কাজেই প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতা করা উচিত। (৮৩:২৬) (আরবী) অর্থাৎ তিনিই সমস্ত জিনিসের সৃষ্টিকর্তা। তিনি প্রত্যেক জিনিসের উপরই পূর্ণ ক্ষমতাবান। সব কিছুরই উপর তাঁর পূর্ণ আধিপত্য রয়েছে। তার সাথে কেউই তুলনীয় নয় এবং তার কোন সাহায্যকারীর প্রয়োজন নেই। তাঁর পিতাও নেই, পুত্রও নেই এবং স্ত্রীও নেই। তিনি ছাড়া অন্য কোন মা'বুদ নেই।
0%