واذ اوحيت الى الحواريين ان امنوا بي وبرسولي قالوا امنا واشهد باننا مسلمون ١١١
وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى ٱلْحَوَارِيِّـۧنَ أَنْ ءَامِنُوا۟ بِى وَبِرَسُولِى قَالُوٓا۟ ءَامَنَّا وَٱشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ ١١١
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

আরো স্মরণ কর, আমি হাওয়ারী[১] (শিষ্য)দেরকে এ আদেশ দিয়েছিলাম যে, ‘তোমরা আমার প্রতি ও আমার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর।’ তারা বলেছিল, ‘আমরা বিশ্বাস করলাম এবং তুমি সাক্ষী থাক যে, আমরা আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)।’

[১] حَوَاريين বলা হয়, ঈসা (আঃ)-এর অনুসারী শিষ্যগণকে; যাঁরা তাঁর প্রতি ঈমান আনয়ন করে তাঁর সহচর ও সাহায্যকারী হিসাবে ছিলেন। তাঁদের সংখ্যা ১২ জন বলা হয়ে থাকে। 'অহী' বলতে এখানে ঐ অহী নয়, যা ফিরিশতা মারফৎ নবীগণের প্রতি অবতীর্ণ হত। এখানে 'অহী' বলতে ইলহামকে বুঝায়; যা আল্লাহর পক্ষ থেকে কিছু লোকের অন্তরে প্রক্ষিপ্ত হয়। যেমন মূসা (আঃ)-এর মাতা ও মারয়্যাম ('আলাইহাস্ সালাম)-কে এই ধরনের ইলহাম করা হয়েছিল, যাকে কুরআন 'অহী' বলে আখ্যায়ন করেছে। এখান থেকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যাঁরা 'অহী' শব্দ দ্বারা এ কথার প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যে, মূসা (আঃ)-এর মাতা ও মারয়্যাম (আলাইহাস সালাম) নবী ছিলেন; কেননা তাঁদের প্রতিও আল্লাহ অহী করেছেন, তাঁদের কথা সঠিক নয়। কারণ সে 'অহী' ইলহামের অহীই ছিল; যেমন হাওয়ারীদের প্রতি কৃত 'অহী' রিসালতের অহী ছিল না।