৪৯-৫০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ্ তা'আলা খবর দিচ্ছেন যে, সৃষ্টিকর্তা, অধিকর্তা এবং আকাশ ও পৃথিবীর ব্যবস্থাপক একমাত্র আল্লাহ্। তিনি যা চান তা হয় এবং যা চান না তা হয় না। তিনি যাকে ইচ্ছা দেন, যাকে ইচ্ছা দেন না। তিনি যা ইচ্ছা করেন তাই সৃষ্টি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা শুধু কন্যা সন্তানই দান করেন, যেমন হযরত নূত (আঃ)। আর যাকে চান তাকে শুধু পুত্র সন্তান দান করেন, যেমন হযরত ইবরাহীম (আঃ)। আবার যাকে ইচ্ছা তিনি পুত্র ও কন্যা উভয় সন্তানই দান করেন, যেমন হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সঃ)। আর তিনি যাকে ইচ্ছা সন্তানহীন করেন, যেমন হযরত ইয়াহ্ইয়া (আঃ) ও হযরত ঈসা (আঃ)। সুতরাং চারটি শ্ৰেণী হলোঃ শুধু কন্যা সন্তানের অধিকারী, শুধু পুত্র সন্তানের অধিকারী, উভয় সন্তানেরই অধিকারী এবং সন্তানহীন।তিনি সর্বজ্ঞ, প্রত্যেক হকদার সম্পর্কে তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল। তিনি সর্বশক্তিমান, তিনি ইচ্ছামত বিভিন্নতা ও তারতম্য রাখেন।সুতরাং এটা আল্লাহ পাকের ঐ ফরমানের মতই যা হযরত ঈসা (আঃ)-এর ব্যাপারে রয়েছে। তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “এটাকে যেন আমি লোকদের জন্যে নিদর্শন করি।”(১৯:২১) অর্থাৎ এটাকে আমি আমার শক্তির প্রমাণ বানাতে চাই এবং দেখাতে চাই যে, আমি মানুষকে চার প্রকারে সৃষ্টি করেছি। হযরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছি শুধু মাটি দ্বারা, তার পিতাও ছিল। না, মাতাও ছিল না। হযরত হাওয়া (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছি শুধু পুরুষের মাধ্যমে। আর হযরত ঈসা (আঃ) ছাড়া অন্যান্য সমস্ত মানুষকে আমি সৃষ্টি করেছি পুরুষ ও নারীর মাধ্যমে এবং ঈসা (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছি পুরুষ ছাড়াই, শুধু নারীর মাধ্যমে। সুতরাং হযরত ঈসা (আঃ)-কে সৃষ্টির করে মহাপ্রতাপান্বিত ও মহান শক্তিশালী আল্লাহ তার সৃষ্টির এই চার প্রকার পূর্ণ করেছেন। ঐ স্থানটি ছিল মাতা-পিতা সম্পর্কে এবং এই স্থানটি হলো সন্তানদের সম্পর্কে। ওটাও চার প্রকার এবং এটাও চার প্রকার। সুবহানাল্লাহ! এটাই হলো আল্লাহ তা'আলার জ্ঞান ও ক্ষমতার নিদর্শন।
0%