وسيق الذين كفروا الى جهنم زمرا حتى اذا جاءوها فتحت ابوابها وقال لهم خزنتها الم ياتكم رسل منكم يتلون عليكم ايات ربكم وينذرونكم لقاء يومكم هاذا قالوا بلى ولاكن حقت كلمة العذاب على الكافرين ٧١
وَسِيقَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ إِلَىٰ جَهَنَّمَ زُمَرًا ۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءُوهَا فُتِحَتْ أَبْوَٰبُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَآ أَلَمْ يَأْتِكُمْ رُسُلٌۭ مِّنكُمْ يَتْلُونَ عَلَيْكُمْ ءَايَـٰتِ رَبِّكُمْ وَيُنذِرُونَكُمْ لِقَآءَ يَوْمِكُمْ هَـٰذَا ۚ قَالُوا۟ بَلَىٰ وَلَـٰكِنْ حَقَّتْ كَلِمَةُ ٱلْعَذَابِ عَلَى ٱلْكَـٰفِرِينَ ٧١
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদেরকে জাহান্নামের দিকে দলে দলে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।[১] যখন ওরা জাহান্নামের নিকট উপস্থিত হবে, তখন তার দরজা খুলে দেওয়া হবে[২] এবং জাহান্নামের রক্ষীরা ওদেরকে বলবে, ‘তোমাদের নিকট কি তোমাদের মধ্য হতে রসূল আসেনি; যারা তোমাদের নিকট তোমাদের প্রতিপালকের আয়াত আবৃত্তি করত এবং এ দিনের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে তোমাদেরকে সতর্ক করত?’ ওরা বলবে, ‘অবশ্যই এসেছিল।[৩] কিন্তু সত্যপ্রত্যাখ্যানকারীদের প্রতি শাস্তির বাক্য বাস্তবায়িত হয়েছে।’ [৪]

[১] زُمَرٌ এর উৎপত্তি হল زَمْرٌ থেকে। অর্থ হল, শব্দ। প্রত্যেক দল বা জামাআতে শোরগোল অবশ্যই হয়, এই জন্য এটা জামাআত ও দল অর্থেও ব্যবহার হয়। অর্থাৎ, কাফেরদেরকে দল আকারে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। একটি দলের পিছনে থাকবে আর একটি দল। তাছাড়া তাদেরকে মারতে মারতে ও ধাক্কা দিতে দিতে পশুর পালের মত হাঁকিয়ে-ডাকিয়ে-তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যেমন, অন্যত্র বলেছেন, ﴿يَوْمَ يُدَعُّونَ إِلَى نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّا﴾ অর্থাৎ, সেদিন তাদেরকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের আগুনের দিকে।(সূরা ত্বূর ৫২:১৩ আয়াত) প্রকাশ থাকে যে, উক্ত শব্দ থেকেই সূরাটির নামকরণ হয়েছে।[২] অর্থাৎ, তাদের পৌঁছনোর সাথে সাথেই জাহান্নামের সাতটি দরজা খুলে দেওয়া হবে। যাতে শাস্তিদানে কোন প্রকার বিলম্ব না হয়।[৩] অর্থাৎ, যেভাবে দুনিয়াতে তর্ক-বিতর্ক, কথা কাটাকাটি এবং ঝগড়া-ঝাঁটি করত, সেখানে কিন্তু সব কিছু চোখের সামনে এসে যাওয়ার পর তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়া-ঝাঁটির কোন অবকাশ থাকবে না। ফলে স্বীকার করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।[৪] অর্থাৎ, আমরা নবীদেরকে মিথ্যাজ্ঞান এবং তাঁদের বিরোধিতা করেছি, সেই দুর্ভাগ্যের কারণে যার আমরা উপযুক্ত ছিলাম। আমরা সত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বাতিলকে গ্রহণ করেছিলাম। এই বিষয়টাকে সূরা মুলকের ৬৭:৮-১০ নং আয়াতে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।