undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

আমি সুলাইমানকে পরীক্ষা করলাম এবং তার আসনের উপর রাখলাম একটি দেহ; অতঃপর সুলাইমান আমার অভিমুখী হল। [১]

[১] এই পরীক্ষা কি ছিল, সিংহাসনে রাখা নিষ্প্রাণ দেহটি কিসের ছিল? তা সিংহাসনে রাখার অর্থ কি? এসব বিবরণ কুরআন পাকে বা কোন সহীহ হাদীসে বিদ্যমান নেই। তবে কোন কোন তফসীরবিদ সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত একটি ঘটনাকে আলোচ্য আয়াতের তফসীর বলে সাব্যস্ত করেছেন। ঘটনার সারমর্ম হল যে, একবার সুলাইমান (আঃ) স্বীয় মনোভাব ব্যক্ত করলেন যে, আজ রাত্রে আমি আমার (৭০ বা ৯০ জন) সকল স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করব যাতে প্রত্যেকের গর্ভ থেকে এক একটি সন্তান জ্বমগ্রহণ করবে, যারা আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। কিন্তু এ মনোভাব ব্যক্ত করার সময় তিনি 'ইনশাআল্লাহ' বলতে ভুলে গেলেন। (অর্থাৎ তিনি নিজ তদবীরের উপর পূর্ণ ভরসা করে বসলেন।) যাতে ফল এই দাঁড়ালো যে, স্ত্রীগণের মধ্যে মাত্র একজন গর্ভবতী হলেন এবং তাঁর গর্ভ থেকে একটি মৃত ও অসম্পূর্ণ সন্তান ভূমিষ্ঠ হল। নবী (সাঃ) বলেছেন, "যদি সুলাইমান (আঃ) 'ইনশাআল্লাহ' বলতেন, তাহলে তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীর গর্ভ থেকে (তাঁর আশানুরূপ এক একটি) মুজাহিদ সন্তান ভূমিষ্ঠ হত।" (বুখারী, মুসলিম) এই সকল তফসীরবিদদের মতে সম্ভবতঃ 'ইনশাআল্লাহ' না বলা বা শুধু নিজ তদবীরের উপর ভরসা করাটাই ফিতনা বা পরীক্ষা ছিল, যে ফিতনায় সুলাইমান (আঃ)-কে ফেলা হয়েছিল। আর সিংহাসনের উপর নিক্ষিপ্ত দেহ ঐ অসম্পূর্ণ বাচ্চা। আর আল্লাহই ভালো জানেন।