এই আয়াতে বাদশাহ ও শাসন ক্ষমতার অধিকারী লোকদেরকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, তারা যেন ন্যায় ও ইনসাফের সাথে কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী ফায়সালা করে। তারা যেন খেয়াল খুশীর অনুসরণ না করে। কেননা এটা তাদেরকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে। যারা আল্লাহর পথ পরিত্যাগ করবে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।হযরত আবু যার'আ (রঃ)-কে তৎকালীন বাদশাহ ওয়ালীদ ইবনে আবদিল মালিক একবার প্রশ্ন করেনঃ “এ সময়ের খলীফাকেও কি আল্লাহ তাআলার নিকট হিসাব দিতে হবে?” উত্তরে হযরত আবু যার'আ (রঃ) বলেনঃ “সত্য কথা বলবো কি?” খলীফা জবাব দিলেনঃ “হ্যা, অবশ্যই সত্য কথা বলুন, আপনাকে সর্বপ্রকারের নিরাপত্তা দান করা হলো।” তখন হযরত আবু যার'আ (রঃ) বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন! হযরত দাউদ (আঃ)-এর মর্যাদা আপনার চেয়ে বহুগুণে বেশী ছিল। আল্লাহ তা'আলা তাকে খিলাফতের সাথে সাথে নবুওয়াতও দান করেছিলেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও আল্লাহর কিতাবে তাঁকে ধমকের সুরে বলা হয়েছেঃ “হে দাউদ (আঃ)! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল খুশীর অনুসরণ করো না, কেননা এটা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে। আর জেনে রেখো যে, যারা আল্লাহর পথ পরিত্যাগ করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন শাস্তি।”(আরবী) ইকরামা (রঃ) বলেন যে, এখানে পরের কথাটিকে পূর্বে এবং পূর্বের কথাটিকে পরে আনা হয়েছে। ভাবার্থ হলোঃ তারা হিসাবের দিনকে ভুলে গেছে বলে তাদের জন্যে কঠিন শাস্তি রয়েছে। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, এর ভাবার্থ হলো তাদের জন্যে কঠিন শাস্তি রয়েছে এই কারণে যে, তারা হিসাবের দিনের জন্যে আমল জমা করেনি। আয়াতের শব্দগুলোর সাথে এই উক্তিটিরই বেশী সম্বন্ধ রয়েছে। এসব ব্যাপারে একমাত্র আল্লাহই সঠিক জ্ঞান রাখেন।