অবিশ্বাসীরা বলে, ‘আমরা এ কুরআনে কখনও বিশ্বাস করব না, এর পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহেও নয়।’[১] আর তুমি যদি দেখতে, যখন সীমালংঘনকারীদেরকে তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দন্ডায়মান করা হবে, তখন ওরা পরস্পরকে দোষারোপ করতে থাকবে,[২] যারা দুর্বল (অনুসারী) ছিল তারা দাম্ভিক (অনুসৃত)দেরকে বলবে,[৩] ‘তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই বিশ্বাসী হতাম।’[৪]
[১] যেমন তাওরাত, যাবূর, ইঞ্জীল ইত্যাদি। অনেকে 'بَيْنَ يَدَيْهِ -এর অর্থ আখেরাত নিয়েছেন। এতে কাফেরদের শত্রুতা ও ঔদ্ধত্যের বর্ণনা রয়েছে যে, তারা সর্বপ্রকার প্রমাণ পাওয়ার পরেও কুরআন কারীম ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে অস্বীকার করে।
[২] অর্থাৎ, তারা পৃথিবীতে কুফর ও শিরক করাতে একে অপরের সাহচর্য ও আত্মীয়তার বন্ধনের ফলে আপোসে সম্প্রীতি রাখত। কিন্তু আখেরাতে এরা একে অপরের শত্রু হবে এবং একে অপরকে দোষারোপ করবে।
[৩] অর্থাৎ, পৃথিবীতে ওরা ঐ সকল মানুষ, যারা চিন্তা-ভাবনা না করে অবুঝের মত দশের কথা অনুযায়ী চলা ফেরা করে। ওরা এ কথা ওদের সেই নেতাদেরকে বলবে, পৃথিবীতে ওরা যাদের অনুসরণ করে চলত।
[৪] অর্থাৎ, তোমরাই আমাদেরকে পয়গম্বর ও সত্যের আহবায়কদের অনুসরণ করা থেকে বিরত রেখেছিলে। যদি তোমরা বিরত না রাখতে, তাহলে আমরা অবশ্যই মু'মিন হতাম।