৮-৯ নং আয়াতের তাফসীরএখানে ভাল লোকদের শেষ পরিণতির কথা বর্ণনা করা হচ্ছে যে, যারা আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে ও রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে মেনে নিয়েছে, শরীয়ত মুতাবেক কাজ করেছে তাদের জন্যে জান্নাত নির্ধারিত আছে, যার মধ্যে নানা প্রকারের নিয়ামত থাকবে। বিভিন্ন প্রকারের সুস্বাদু খাদ্য, সুন্দর ঝকঝকে তকতকে পোশাক, সুন্দর সুন্দর গাড়ী-ঘোড়া, পবিত্র ডাগর চোখা পরমা সুন্দরী হরীরা বিদ্যমান থাকবে। সেখানে এসব নিয়ামত কখনো নিঃশেষ হবে না। না এগুলো নষ্ট হবে, না ধ্বংস হবে, না কমে যাবে। এসব নিয়ামত অবশ্যই দেয়া হবে। কেননা, এটা আল্লাহর ওয়াদা এবং তিনি তাঁর ওয়াদা কখনো ভঙ্গ করেন না। তিনি দয়ালু, অনুগ্রহশীল ও পরম করুণাময়। তিনি যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন। তিনি অসীম ক্ষমতার অধিকারী। সার্বভৌম ক্ষমতা তারই। সবকিছুই তাঁর অয়িত্তের মধ্যে রয়েছে। তিনি প্রজ্ঞাময়। তাঁর কোন কথা, কোন কাজ জ্ঞান-বিবেক বহির্ভূত নয়। তিনি কুরআন কারীমকে মুমিনদের জন্যে পথপ্রদর্শক। ও শিক্ষাদানকারী করেছেন। আর বেঈমানদের জন্যে এটা বোঝা স্বরূপ ও চোখের কাঁটার ন্যায়। মহান আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “আমি অবতীর্ণ করি কুরআন যা মুমিনদের জন্যে আরোগ্য ও রহমত। আর এটা যালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।” (১৭:৮২)