৮১-৮২ নং আয়াতের তাফসীরভাবার্থ এই যে, যার কর্ম সবই মন্দ, যার মধ্যে পুণ্যের লেশ মাত্র নেই সে দোযখী, পক্ষান্তরে যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সঃ) উপর ঈমান এনেছে এবং সুন্নাহ অনুযায়ী কাজ করেছে সে জান্নাতবাসী। যেমন অন্যস্থানে আছেঃ “না তোমাদের কোন অভিসন্ধি চলবে, না আহলে কিতাবের। যে ব্যক্তি খারাপ কাজ করবে তাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে এবং তার জন্যে আল্লাহ ছাড়া কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না। আর মুমিন নর বা নারীর মধ্যে যারা ভাল কাজ করবে তারা বেহেশতে প্রবেশ করবে এবং বিন্দুমাত্র জুলুম করা হবে না।”হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, এখানে মন্দ কাজের অর্থ কুফরী। অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, এর অর্থ হচ্ছে শিক'। আবু অয়েল (রঃ), আকূল ‘আলিয়া (রঃ), মুজাহিদ (রঃ), ইকরামা (রঃ), হাসান বসরী (রঃ) কাতাদাহ (রঃ) এবং রাবী ‘বিন আনাস (রঃ) প্রভৃতি মনীষীগণ হতেও এটা বর্ণিত আছে। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, মন্দ কাজের অর্থ হচ্ছে কবিরা গুনাহ’ যা স্তর স্তর হয়ে অন্তরের অবস্থা খারাপ করে দেয়।হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন যে, এর অর্থ শিরক, যা অন্তরকে অধিকার করে বসে। হযরত রাবী’ বিন খাসিম (রঃ)-এর মতে এর দ্বারা ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে, যে পাপের অবস্থাতেই মরে এবং তাওবা করার সুযোগ লাভ করে না। মুসনাদ-ই-আহমাদে হাদীস আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “তোমরা পাপকে ছোট মনে করো না, এগুলো জমা হয়ে মানুষের ধ্বংসের কারণ হবে। তোমরা কি দেখনা যে, কতকগুলো লোক একটি করে খড়ি নিয়ে আসলে খড়ির একটি স্তুপ হয়ে যায়। অতঃপর ওতে আগুন ধরিয়ে দিলে ওটা বড় বড় জিনিসকে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়?" অতঃপর ঈমানদারগণের বর্ণনা প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক বলেন যে, তোমাদের মধ্যে যারা কুফরীর মুকাবিলায় ঈমান আনে এবং অসৎ কাজের মুকাবিলায় সকার্য করে, তাদের জন্যে চিরস্থায়ী আরাম ও শান্তি। তারা শান্তিদায়ক বেহেশতের মধ্যে চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহ প্রদত্ত শান্তি ও শাস্তি উভয়ই চিরস্থায়ী।