You are reading a tafsir for the group of verses 2:72 to 2:73
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৭২-৭৩ নং আয়াতের তাফসীরসহীহ বুখারী শরীফের মধ্যে (আরবি)-এর অর্থ করা হয়েছে তোমরা মতভেদ করলে।হযরত মুজাহিদ (রঃ) প্রভৃতি মনীষীগণ হতেও এটাই বর্ণিত আছে। মুসীব বিন রাফে (রঃ) বলেন যে, যে ব্যক্তি সাতটি ঘরের মধ্যে লুকিয়েও কোন কাজ করে, আল্লাহ তার পুণ্য প্রকাশ করে দেবেন। এ রকমই যদি কোন লোক সাতটি ঘরের মধ্যে ঢুকেও কোন খারাপ কাজ করে, আল্লাহ ওটাও প্রকাশ করে দেবেন। অতঃপর (আরবি)-এই আয়াতটি পাঠ করেন। এবানে ঐ চাচা ভাতিজারই ঘটনা বর্ণিত হচ্ছে, যে কারণে গরু যবাহ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বলা হচ্ছে যে, ওর কোন অংশ নিয়ে মৃত ব্যক্তির দেহে আঘাত কর, যদি বলা হয় যে ঐ অংশটি কোন অংশ ছিল। তবে বলা হবে যে, এর বর্ণনা না কুরআন মাজীদের মধ্যে আছে, না কোন সহীহ হাদীসে আছে। এটা জানায় না কোন উপকার আছে বা না জানায় কোন ক্ষতি আছে। যে জিনিসের কোন কর্ণনা নেই তার পিছনে না পড়ার মধ্যেই শান্তি ও নিরাপত্তা রয়েছে। 'কেউ কেউ বলেছেন যে, এটা আযরূকের নরম হাড় ছিল। কেউ বলেন যে, হাড় নয় বরং রানের গোশত। কেউ বলেন যে, ওটা দুই ঘাড়ের মধ্যবর্তী স্থানের গোশত ছিল। কেউ বলেন যে, ওটা জিহবার গোশত ছিল, আবার কারও মতে ওঠা ছিল লেজের গোশত। কিন্তু আমাদের মঙ্গল ওতেই আছে যে, আল্লাহ ভাআলা যা গুপ্ত রেখেছেন আমরা ও যেন তা গুপ্ত রাখি। ঐ অংশ দ্বারা স্পর্শ করা মাত্রই সে জীবিত হয়ে ওঠে এবং আল্লাহ তা'আলা সেই ঝগড়ার ফায়সালা ওর দ্বারাই করেন আর কিয়ামতের দিন মৃতেরা যে জীবিত হয়ে উঠবে তার দলীলও একেই করেন। এ সূরার মধ্যে পাঁচ জায়গায় মরার পরে জীবিত হওয়ার বর্ণনা রয়েছে। প্রথম হচ্ছে নিম্নের আয়াতটির মধ্যে (আরবি) দ্বিতীয় আলোচ্য ঘটনায়, তৃতীয় ঐ লোকদের ঘটনায় যারা হাজার হাজার সংখ্যায় বের হয়েছিল এবং একটি বিধ্বস্ত পল্পী তারা অতিক্রম করেছিল। চতুর্থ হষরত ইবরাহীম (আঃ)-এর চারটি পাখীকে মেরে ফেলার পর জীবিত হওয়ার মধ্যে এবং পঞ্চম হচ্ছে যমীনের মরে যাওয়ার পর বৃষ্টির সাহায্যে পুনর্জীবন দান করাকে মরণ ও জীবনের সঙ্গে তুলনা করার মধ্যে। . আবু দাউদ তায়ালেসীর একটি হাদীসে আছে যে, আবু রাজীন আকিলী (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কিভাবে আল্লাহ মৃতকে জীবিত করবেন?” তিনি বলেনঃ “তুমি কোন দিন বৃক্ষলতাহীন প্রান্তরে মধ্যদিয়ে চলেছে কি?” তিনি বলেনঃ হ, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ আবার কখনও ওকে সবুজ ও সতেজ দেখেছো কি?' তিনি বলেন, 'হাঁ'। রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ ‘এভাবেই মৃত্যুর পর জীবন লাভ ঘটবে।কুরআন মাজীদের অন্য এক জায়গায় রয়েছে ও তাদের (অবিশ্বাসীদের) জন্যে মৃত ভূমিও একটি নিদর্শন যাকে আমি জীবিত করে থাকি এবং তা হতে শস্য উৎপাদন করে থাকি, তারা তা হতে আহার করে থাকে। আমি তার মধ্যে খেজুর ও আঙ্গুরের বাগানসমূহ করে দিয়েছি এবং তাতে ঝরণাসমূহ প্রবাহিত করেছি, যেন অর ফুলসমূহ হতে ভক্ষণ করতে পারে, তাদের হস্তসমূহ তা তৈরী করেনি, তবুও তারা কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে না?”কোন আহত ব্যক্তি যদি বলে যে, অমুক ব্যক্তি আমাকে উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে হত্যা করেছে তবে তার এ কথাকে সত্য মনে করা হবে। এ জিজ্ঞাস্য বিষয়ের উপর এ আয়াত দ্বারা দলীল গ্রহণ করা হয়েছে। এবং হযরত ইমাম মালিক (রঃ)-এর মাযহাবকে এর দ্বারা মজবুত করা হয়েছে। কেননা, নিহত লোকটি জীবিত হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞেস করায়, সে যাকে তার হত্যাকারী বলে, তাকে হত্যা করা হয় এবং নিহত ব্যক্তির কথাকেই বিশ্বাস করা হয়। এটা স্পষ্ট কথা যে, মানুষ মুমূর্ষ অবস্থায় সাধারণতঃ সত্য কথাই বলে থাকে এবং সে সময় তার উপর কোন অপবাদ দেয়া হয় না।হযরত আনাস (রাঃ) বলেন যে, এক ইয়াহূদী একটি দাসীর মাথা পাথরের উপরে রেখে অন্য পাথর দ্বারা ভীষণভাবে প্রহার করে এবং তার অলংকার খুলে নেয়। রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট এ সংবাদ পৌছলে তিনি বলেনঃ “ঐ দাসীকে জিজ্ঞেস কর যে তাকে কে মেরেছে?' লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করতে শুরু করেঃ “তোমাকে অমুক মেরেছে? অমুক মেরেছে?” সে তার মাথার ইশারায় অস্বীকার করতে থাকে। ঐ ইয়াহূদীর নাম করলে সে মাথার ইশারায় সম্মতি জানায়। সুতরাং ইয়াহূদীকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে বারবার জিজ্ঞেস করায় সে স্বীকার করে। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) নির্দেশ দেন যে, তার মাথাকেও এভাবেই দুটি পাথরের মধ্যস্থলে রেখে দলিত করা হোক। ইমাম মালিকের (রঃ) মতে এটা উত্তেজনার কারণে হলে নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশগণকে শপথ করাতে হবে। কিন্তু জমহুর এর বিরোধী এবং এক নিহত ব্যক্তির কথাকে এ ব্যাপার প্রমাণরূপে গ্রহণ করেন না।