undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

এখানে তাদের তাওবার পন্থা বর্ণনা করা হচ্ছে। তারা বাছুরের পূজা করেছিল এবং তার প্রেম তাদের অন্তরে বদ্ধমূল হয়েছিল। অতঃপর হযরত মূসার (আঃ) বুঝানোর ফলে তাদের সম্বিৎ ফিরে আসে এবং তারা লজ্জিত হয় ও নিজেদের পথভ্রষ্টতার কথা বিশ্বাস করতঃ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে। তখন তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয় যে, তাদের মধ্যে যারা বাছুর পূজা করেছে তাদেরকে যেন হত্যা করে ঐসব লোকে যারা এতে যোগ দেয়নি। তারা তাই করে। সুতরাং আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করেন এবং হত্যাকারী ও নিহত সবকেই ক্ষমা করে দেন। এর পূর্ণ বর্ণনা ইনশাআল্লাহ সূরা-ই- তা-হা’য় আসবে। হযরত মূসা (আঃ)-এর তাদের সৃষ্টিকর্তার নিকট তাওবা করার নির্দেশ দেয়ার অর্থ এই যে, তাদেরকে যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে পূজা করা-এর চেয়ে বড় জুলুম আর অত্যাচার আর কী হতে পারে? একটি বর্ণনায় আছে যে, হযরত মূসা (আঃ) তাদেরকে মহান আল্লাহর নির্দেশ শুনিয়েদেন এবং যেসব লোক বাছুর পূজা করেছিল তাদেরকে বসিয়ে দেন এবং অন্যান্য লোক দাড়িয়ে গিয়ে তাদেরকে হত্যা করতে শুরু করে। আল্লাহ তাআলার হুকুমে অন্ধকার ছেয়ে যায়। অতঃপর তাদেরকে বিরত রাখা হয়। তখন গণনা করে দেখা যায় যে, সত্তর হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। এরপর সারা গোত্রের তাওবা কবূল হয়ে যায়। ওটা একটি কঠিন নির্দেশ ছিল যা তারা পালন করেছিল এবং আপন ও পর সকলকেই সমানভাবে হত্যা করেছিল। এরই ফলে পরম করুণাময় আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করেছিলেন। হযরত মূসা (আঃ) তাদেরকে বলেছিলেনঃ যথেষ্ট হয়েছে, মহান আল্লাহ নিহতদেরকে শহীদের পুণ্যদান করেছেন। হত্যাকারী ও অবশিষ্ট লোকদের তাওবা আল্লাহ পাক ককূল করেছেন এবং তাদেকে জিহাদের পূণ্য দান করেছেন।' হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূন (আঃ) এভাবে তাদের গোত্রের হত্যাকার্য দর্শন করে আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রার্থনা জানিয়ে বলেনঃ “হে আল্লাহ! এখন তো বনী ইসরাঈল দুনিয়ার বুক হতে মুছে যাবে!' সুতরাং তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয় এবং বিশ্বপ্রভু বলেনঃ “হে আমার নবীগণ! তোমরা নিহতদের জন্যে দুঃখ করো না, তারা আমার নিকট শহীদদের মর্যাদা পেয়েছে। তারা এখানে জীবিত রয়েছে ও আহার্য পাচ্ছে। তখন তাদের ও গোত্রের লোকদের সান্ত্বনা লাভ হয় এবং স্ত্রীলোকদের ও শিশুদের বিলাপ বন্ধ হয়, তরবারী, বর্শা, ছোরা ইত্যাদি থেমে যায়। পিতা পুত্র ও ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তারক্তি বন্ধ হয়ে যায় এবং পরম দয়ালু আল্লাহ তাদের তাওবা কবূল করেন।