undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

হে বনী ঈস্রাঈল! আমার সেই অনুগ্রহকে তোমরা স্মরণ কর, যার দ্বারা আমি তোমাদেরকে অনুগৃহীত করেছি এবং বিশ্বে সবার উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। (১)

(১) এখান থেকে আবারও বানী-ইস্রাঈলের প্রতি কৃত পুরস্কারসমূহের কথা স্মরণ করানো হচ্ছে এবং তাদেরকে সেই কিয়ামতের দিনের ভয় দেখানো হচ্ছে, যেদিন কেউ কারো উপকারে আসবে না। সুপারিশ গৃহীত হবে না। বিনিময় দিয়ে মুক্তি পাওয়া যাবে না এবং কোন সাহায্যকারী এগিয়ে আসবে না। তাদের প্রতি কৃত পুরস্কারসমূহের মধ্যে অন্যতম পুরস্কার হল, তাদেরকে নিখিল বিশ্বের সবার উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছিল। অর্থাৎ, উম্মাতে মুহাম্মাদীয়ার পূর্বে জগত-শ্রেষ্ঠ হওয়ার দুর্লভ মর্যাদা বানী-ইস্রাঈলরাই লাভ করেছিল। কিন্তু আল্লাহর অবাধ্যতার শিকার হয়ে এই মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য তারা হারিয়ে ফেলে এবং উম্মাতে মুহাম্মাদীকে 'সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত' উপাধি দান করা হয়। এখানে এ ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়েছে যে, ইলাহী পুরস্কারসমূহ কোন বিশেষ গোষ্ঠীর সাথে নির্দিষ্ট নয়, বরং তা ঈমান ও আমলের ভিত্তিতে লাভ করা যায় এবং ঈমান ও আমল থেকে বঞ্চিত হলে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি উম্মাতে মুহাম্মাদী অপকর্মসমূহে এবং শির্ক ও বিদআতে লিপ্ত হওয়ার কারণে 'সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত' হওয়ার পরিবর্তে সর্বনিকৃষ্ট উম্মতে পরিণত হয়েছে -হাদাহাল্লাহু তাআলা

ইয়াহুদীরা এ কারণেও প্রতারিত যে, তারা মনে করে, তারা তো আল্লাহর অতীব প্রিয় ও পছন্দনীয় বান্দা, অতএব তারা আখেরাতের পাকড়াও থেকে সুরক্ষিত থাকবে। মহান আল্লাহ ঘোষণা ক'রে দিলেন যে, সেখানে আল্লাহর অবাধ্যজনদের কেউ সাহায্য করতে পারবে না। এই ধোঁকায় উম্মতে মুহাম্মাদীও পতিত। সুপারিশ (যা আহলে সুন্নাহর নিকট এক বাস্তব বিষয়)এর আশায় তারা নিজেদের কু-কর্মকে বৈধ করে রেখেছে। নবী কারীম (সাঃ) অবশ্যই সুপারিশ করবেন এবং মহান আল্লাহ তাঁর সুপারিশ কবুলও করবেন। (সহীহ হাদীসসমূহে এটা প্রমাণিত) কিন্তু এ কথাও হাদীসে এসেছে যে, বিদআতীরা তাঁর সুপারিশ থেকে বঞ্চিত থাকবে। অনুরূপ অনেক পাপীদেরকে জাহান্নামে শাস্তি দেওয়ার পর রসূল (সাঃ)-এর সুপারিশে জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। জাহান্নামের এই কয়েক দিনের শাস্তি কি সহনযোগ্য হবে যে, আমরা সুপারিশের উপর ভরসা ক'রে পাপ করেই চলেছি?