undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

উপদেশ ও আল্লাহর নিয়ামতসমূহের বিস্তারিত আলোচনাবানী ইসরাঈলের বাপ দাদার উপর মহান আল্লাহ যে নিয়ামত দান করেছিলেন তারই বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তাদের মধ্যে রাসূল হয়েছেন, তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে এবং তাদের যুগের অন্যান্য লোকের উপর তাদেরকে মর্যাদা দেয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ পাক বলেছেনঃ “নিশ্চয় আমি তাদেরকে জ্ঞান বিজ্ঞানে সারা বিশ্বজগতের উপর মর্যাদা দান করেছি।' অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেছেনঃ “এবং যখন মূসা (আঃ) বললোঃ- “হে আমার গোত্র তোমাদের উপর আল্লাহর যে নিয়ামত রয়েছে তা স্মরণ কর, যেমন, তিনি তোমাদের মধ্যে নবীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে বাদশাহ বানিয়েছেন এবং তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন যা সারা বিশ্বের আর কাউকেও দেয়া হয়নি। সমস্ত লোকের উপর মর্যাদা লাভের অর্থ হচ্ছে তাদের যুগের সমস্ত লোকের উপর। কেননা, মুহাম্মদ (সঃ)-এর উম্মত নিশ্চিতরূপে তাদের চেয়ে উত্তম। এ উম্মত সম্বন্ধে আল্লাহ পাক বলেছেনঃ “তোমরা উত্তম সম্প্রদায়, যে সম্প্রদায়কে জনমণ্ডলীর জন্যে প্রকাশ করা হয়ছে.....।মুসনাদসমূহের ও সুনানের মধ্যে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ ‘তোমরা সত্তরতম উম্মত এবং তোমরা সর্বোত্তম ও মর্যাদবান। এ প্রকারের বহু হাদীস ইনশাআল্লাহ (আরবি) এর তাফসীরে আসবে। আবার এও বলা হয়েছে যে, এর ভাবার্থ হচ্ছে সমস্ত লোকের উপর একটি বিশেষ প্রকারের ফযীলত', ওর দ্বারা সর্বপ্রকারের ফযীলত সাব্যস্ত হয় না। ইমাম রাযী (রঃ) এটাই বলেছেন। কিন্তু এটা বিবেচ্য বিষয়। এটাও বলা হয়েছে, তাদের মর্যাদা সমস্ত উম্মতের উপর এই দিক দিয়ে যে, নবীগণ তাদের মধ্য হতেই হয়ে এসেছেন। কিন্তু এর মধ্যেও চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কেননা, এরকম সাধারণভাবে দেখতে গেলে তাদের পূর্ববর্তীগণও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রকৃতপক্ষে আগের নবীগণ (আঃ) এদের মধ্য হতে ছিলেন না। যেমন ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আঃ)। আর হযরত মুহাম্মদও (সঃ) তাদের মধ্য হতে ছিলেন না-যিনি ছিলেন সর্বশেষ নবী এবং যিনি সমস্ত সৃষ্টজীবের মধ্যে সর্বোত্তম আর যিনি হচ্ছেন দুনিয়া ও আখেরাত উভয় স্থানে সমস্ত আদম সন্তানের নেতা (তাঁর উপর দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক)