You are reading a tafsir for the group of verses 2:38 to 2:39
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৩৮-৩৯ নং আয়াতের তাফসীরজগতের চিত্রজান্নাত হতে বের করার সময় হযরত আদম (আঃ), হযরত হাওয়া (আঃ) ও ইবলীসকে যে সংবাদ দেয়া হয়েছিল তারই বর্ণনা হচ্ছে যে, জগতে কিতাবাদি ও নবী রাসূলগণকে পাঠান হবে, অলৌকিক ঘটনাবলী প্রকাশ করা হবে, দলীল প্রমাণাদি বর্ণিত হবে, সত্যপথ প্রকাশ করে দেয়া হবে, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) কেও পাঠান হবে এবং তার প্রতি কুরআন মাজীদ অবতীর্ণ করা হবে। অতঃপর, যারা আপন আপন যুগের নবী ও কিতাবের অনুসরণ করবে, পরকালে তাদের কোন ভয় থাকবে না এবং দুনিয়া হাত ছাড়া হওয়ার কারণে তারা কোন চিন্তাও করবে না। সুরা-ই-ত-হা’র মধ্যে এটাই বলা হয়েছেঃ “আমার হিদায়াতের অনুসারীরা পথভ্রষ্ট হবে না। এবং হতভাগ্য হবে না, আর আমার স্মরণ হতে মুখ প্রত্যাবর্তনকারী দুনিয়ার সংকীর্ণতায় এবং আখেরাতের অপমানজনক শাস্তিতে গ্রেফতার হবে।”এখানেও আল্লাহ তা'আলা বলেছেন যে, অস্বীকারকারী ও মিথ্যা পতিপন্নকারীরা জাহান্নামের মধ্যে চিরদিন অবস্থান করবে। তাফসীর-ই-ইবনে জারীরের হাদীসে আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যারা মূল দোযখী তাদের মরণও হবে না বা তারা ভাল জীবনও লাভ করবে না। তবে হাঁ, যেসব একত্ববাদী ও সুন্নাতের অনুসারীকে কিছু পাপের জন্যে দোযখে নিক্ষেপ করা হবে, তারা পুড়ে কয়লা হয়ে মরে যাবে। পুনরায় তাদেরকে সুপারিশের মাধ্যমে বের করা হবে। সহীহ মুসলিম শরীফেও এই হাদীসটি আছে। দ্বিতীয়বার যে জান্নাত হতে বের হওয়ার হুকুম বর্ণিত হয়েছে ঐ ব্যাপারে কতক লোক বলেনঃ “এটা এজন্যেই যে, এখানে অন্যান্য আহকাম বৰ্ণনা করার ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন যে, প্রথমবার বেহেশত হতে প্রথম আকাশে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল এবং দ্বিতীয়ার প্রথম আকাশ হতে পৃথিবীতে নামান হয়েছিল। কিন্তু প্রথমটিই সঠিক কথা। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।