হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ), হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) এবং আরও কয়েকজন সাহাবী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তারা হিদায়াতকে ছেড়ে গুমরাহীকে গ্রহণ করেছিল। হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ “ঈমানের পরিবর্তে কুফরীকে গ্রহণ করেছিল।" মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ তারা ঈমান আনার পরে কাফির হয়েছিল।' কাতাদাহ (রঃ) বলেনঃ “তারা হিদায়াতের চাইতে গুমরাহীকেই অধিক পছন্দ করেছিল। যেমন অন্যস্থানে সামূদ সম্প্রদায় সম্পর্কে আল্লাহ পাক বলেনঃ “আমি সামূদ কাউমকে সুপথ দেখিয়েছিলাম, কিন্তু তারা সুপথের তুলনায় ভ্রান্ত পথকে পছন্দ করেছিল। ভাবার্থ এই যে, মুনাফিকরা হিদায়াত হতে সরে গিয়ে গুমরাহীর উপর এসে গেছে এবং হিদায়াতের পরিবর্তে গুমরাহীকেই গ্রহণ করেছে। এখন ঈমান এনে পুনরায় কাফির হয়েছে। হয়তো বা আসলেই ঈমান লাভের সৌভাগ্য হয়নি। মুনাফিকদের মধ্যে দুই প্রকারের লোক ছিল। যেমন কুরআন পাকে এসেছেঃ (আরবি)অর্থাৎ এটা এই হেতু যে, তারা ঈমান এনেছে, অতঃপর কাফির হয়েছে, অতএব তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়েছে।' (৬৩:৩) আবার এমনও মুনাফিক ছিল যাদের ভাগ্যে ঈমান লাভই ঘটেনি। সুতরাং এরা এই সওদায় কোন উপকারও লাভ করেনি এবং পথও প্রাপ্ত হয়নি, বরং হিদায়াতের বাগান হতে বের হয়ে কাটার জঙ্গলে পড়ে গেছে। নিরাপত্তার প্রশস্ত মাঠ হতে বেরিয়ে ভীতিপ্রদ অন্ধকার ঘরে এবং সুন্নতের পবিত্র বাগান হতে বের হয়ে বিদ'আতের শুষ্ক জঙ্গলে এসে পড়েছে।