قال انما اوتيته على علم عندي اولم يعلم ان الله قد اهلك من قبله من القرون من هو اشد منه قوة واكثر جمعا ولا يسال عن ذنوبهم المجرمون ٧٨
قَالَ إِنَّمَآ أُوتِيتُهُۥ عَلَىٰ عِلْمٍ عِندِىٓ ۚ أَوَلَمْ يَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ قَدْ أَهْلَكَ مِن قَبْلِهِۦ مِنَ ٱلْقُرُونِ مَنْ هُوَ أَشَدُّ مِنْهُ قُوَّةًۭ وَأَكْثَرُ جَمْعًۭا ۚ وَلَا يُسْـَٔلُ عَن ذُنُوبِهِمُ ٱلْمُجْرِمُونَ ٧٨
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

সে বলল, ‘এ সম্পদ আমি আমার জ্ঞানবলে প্রাপ্ত হয়েছি।’ [১] সে কি জানত না যে, আল্লাহ তার পূর্বে বহু মানবগোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছেন, যারা তার থেকেও শক্তিতে ছিল প্রবল, সম্পদে ছিল প্রাচুর্যশালী?[২] আর অপরাধীদেরকে তাদের অপরাধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাও করা হবে না।[৩]

[১] এই সব উপদেশের জবাবে সে এ কথা বলেছিল। যার অর্থ হল, উপার্জন ও ব্যবসার যে দক্ষতা আমার রয়েছে এ সম্পদ তো তারই ফসল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও দানের সঙ্গে এর সম্পর্ক কি? এর দ্বিতীয় অর্থ হল, আল্লাহ আমাকে এই সম্পদ দিয়েছেন, যেহেতু তিনি জানেন যে, আমি এর উপযুক্ত। আর তিনি আমার জন্য এটি পছন্দ করেছেন। যেমন, অন্য এক জায়গায় মহান আল্লাহ মানুষের অন্য একটি কথা উল্লেখ করেছেন, "মানুষকে দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করলে সে আমাকে আহবান করে; অতঃপর যখন আমি তাকে অনুগ্রহ প্রদান করি তখন সে বলে, 'আমি তো এ আমার জ্ঞানের মাধ্যমে লাভ করেছি।' বস্তুতঃ এ এক পরীক্ষা, কিন্তু ওদের অধিকাংশই জানে না।" (সূরা যুমার ৩৯:৪৯ আয়াত) অর্থাৎ, আমাকে এই অনুগ্রহ এই জন্যই দান করা হয়েছে যেহেতু আল্লাহর জ্ঞানে আমি এর উপযুক্ত ছিলাম। অন্য এক জায়গায় বলা হয়েছে, "দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর যখন আমি তাকে অনুগ্রহের আস্বাদ দিই, তখন সে বলেই থাকে, 'এ আমার প্রাপ্য।" (সূরা হা-মী-ম সাজদাহ ৪১:৫০ আয়াত) অর্থাৎ, আমি তো এর উপযুক্ত। কেউ কেউ বলেন, কারূন 'কিমিয়া' (সোনা তৈরী করার বিদ্যা) জানত। (তার কাছে পরশমণি পাথর ছিল।) এখানে এই অর্থ বুঝানো হয়েছে। এই বিদ্যার ফলেই সে এত বিশাল ধনী হয়েছিল। কিন্তু ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) বলেন, এই বিদ্যার কথা মিথ্যা ও ধোঁকাবাজি। কারণ, কোন মানুষ কোন জিনিসের আসলত্ব পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না। সেই জন্য কারূনের জন্যও এটি সম্ভব ছিল না যে, অন্য ধাতুকে সোনায় পরিণত করবে এবং এভাবে সে ধনরাশি জমা করবে।[২] অর্থাৎ, শক্তি ও ধনের আধিক্য মান-মর্যাদার মাপকাঠি হতে পারে না। যদি তাই হত তাহলে পূর্বের জাতিরা ধ্বংস হত না। সেই জন্য কারূনের নিজ সম্পদের উপর গর্ব-অহংকার করা আর এটিকে সম্মানের কারণ মনে করার কোন কিছুই নেই।[৩] অর্থাৎ, পাপ যখন সীমা ছাড়িয়ে যায় এবং যার কারণে পাপী আযাবের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়, তখন তাকে পাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় না। বরং তাকে পাকড়াও করা হয়।