৭৬-৮১ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ স্বীয় পবিত্র কিতাব সম্পর্কে খবর দিতে গিয়ে বলেন যে, কুরআন যেমন রহমত স্বরূপ তেমনই ফুরকানও বটে। বানী ইসরাঈল অর্থাৎ যারা তাওরাত ও ইঞ্জীলের বাহক তাদের মতভেদের ফায়সালা এই কিতাবে রয়েছে। যেমন হযরত ঈসা (আঃ)-এর উপর ইয়াহূদীরা মিথ্যা অপবাদ দিয়েছিল এবং খৃষ্টানরা তাঁকে তাঁর সীমার চেয়ে বাড়িয়ে দিয়েছিল। কুরআন এর ফায়সালা করে দিয়েছে এবং ইফরাত (বাহুল্য) এবং তাফরীত (অত্যল্প)-কে ছেড়ে দিয়ে সত্য কথা প্রকাশ করেছে। কুরআন বলেছে যে, তিনি আল্লাহর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহর হুকুমে তিনি সৃষ্ট হয়েছেন। তাঁর মাতা ছিলেন অত্যন্ত পবিত্র ও সতী-সাধ্বী। সঠিক ও সন্দেহহীন কথা এটাই। এই কুরআন মুমিনদের অন্তরের হিদায়াত এবং তাদের জন্যে সরাসরি রহমত। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা তাদের ফায়সালা করবেন যিনি বদলা নেয়ার ব্যাপারে প্রবল পরাক্রান্ত এবং বান্দাদের কথা ও কাজ সম্পর্কে তিনি পূর্ণ ওয়াকিফহাল।এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ “তুমি আল্লাহর উপর নির্ভর কর। তুমি তো স্পষ্টভাবে সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর বিরুদ্ধবাদীরা চিরন্তনরূপে হতভাগ্য। তাদের উপর তোমার প্রতিপালকের কথা বাস্তবায়িত হয়েছে। সুতরাং তাদের ভাগ্যে ঈমান নেই। তুমি যদি তাদের সমস্ত মু'জিযা প্রদর্শন কর তবুও তারা ঈমান আনয়ন করবে না। তারা মৃতের ন্যায়। আর তুমি তো মৃতকে কথা শুনাতে পারবে না এবং পারবে না তুমি বধিরকে তোমার ডাক। শুনাতে, যখন তারা পিঠ ফিরিয়ে চলে যায়। আর যারা চোখ থাকতেও অন্ধ সাজে তাদেরকে তুমি পথভ্রষ্টতা হতে পথে আনতে সক্ষম হবে না। তুমি শুনতে পারবে শুধু তাদেরকে যারা আমার আয়াতসমূহকে বিশ্বাস করে এবং তারাই তো আত্মসমর্পণকারী। তারা আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ)-কে স্বীকার করে এবং আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে আমল করে যায়।