৭১-৭৫ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ তাআলা মুশরিকদের সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছেন যে, তারা কিয়ামতকে। স্বীকারই করতো না বলে সাহসিকতা ও বাহাদুরীর সাথে সত্বর এর আগমন কামনা করতো এবং বলতো: “যদি তুমি সত্যবাদী হও তবে বল দেখি এটা আসবে কখন? আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে মুহাম্মাদ (সঃ)-এর মাধ্যমে জবাব দেয়া হচ্ছে যে, খুবই সম্ভব যে, ওটা সম্পূর্ণরূপে নিকটবর্তী হয়েই গেছে। যেমনঅন্য আয়াতে রয়েছে (আরবি) অর্থাৎ “সম্ভবতঃ ওটার সময় নিকটবর্তী হয়েছে।” (১৭:৫১) মহান আল্লাহ আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তোমার কাছে তারা আযাবের ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করছে (তাড়াতাড়ি আযাব চাচ্ছে, তাদের জেনে রাখা উচিত যে,) নিশ্চয়ই জাহান্নাম কাফিরদেরকে পরিবেষ্টন করে রয়েছে।” (২৯:৫৪) (আরবি)-এর (আরবি)অক্ষরটি (আরবি)শব্দের (আরবি) (তাড়াতাড়ি করা)-এর অর্থকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে অনা হয়েছে। যেমন এটা হযরত মুজাহিদ (রঃ) হতে বর্ণিত আছে।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ মানুষের উপর তো আল্লাহর বহু দয়া ও অনুগ্রহ রয়েছে এবং রয়েছে তাদের উপর তার অসংখ্য নিয়ামত। তথাপি তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ। আল্লাহ তা'আলা বলেন ও তাদের অন্তর যা গোপন করে এবং যা তারা প্রকাশ করে তা তিনি অবশ্যই জানেন। যেমন অন্য জায়গায় তিনি বলেন (আরবি) অর্থাৎ “তোমাদের মধ্যে যে কথাকে গোপন করে এবং যে তা প্রকাশ করে উভয় (তার কাছে) সমান।” (১৩: ১০) আর এক জায়গায় আছে। অর্থাৎ “তিনি গোপনীয় ও লুক্কায়িত কথাও জানেন।” (২০৪৭)এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ আকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন রহস্য নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই। তিনি অদৃশ্যের সব খবরই রাখেন। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তুমি কি জান না যে, আকাশে ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তিনি সবই জানেন, নিশ্চয়ই তা কিতাবে রয়েছে এবং নিশ্চয়ই ওটা আল্লাহর কাছে সহজ।” (২২:৭০)