বরং পরলোক সম্পর্কে তো ওদের জ্ঞান নিঃশেষ হয়েছে;[১] বরং ওরা তো এ বিষয়ে সন্দিগ্ধ, বরং এ বিষয়ে ওরা অন্ধ। [২]
[১] অর্থাৎ, তাদের জ্ঞান পরলোক কখন হবে তা জানতেও অক্ষম। বা তাদের জ্ঞান আখেরাতের ব্যাপারে অন্যদের সমান। যেমন নবী (সাঃ) জিবরীলের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেছিলেন যে, জিজ্ঞাসিত ব্যক্তি জিজ্ঞাসক অপেক্ষা বেশী জানে না। অথবা এর অর্থ এই যে, তাদের কিয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান পূর্ণ হয়ে গেছে। কারণ তারা কিয়ামতের ব্যাপারে কৃত ওয়াদা নিজ চোখে দেখে নিয়েছে; যদিও এ জ্ঞান তাদের কোন উপকার দেবে না। কারণ পৃথিবীতে তারা তাকে মিথ্যাজ্ঞান করত। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,{أَسْمِعْ بِهِمْ وَأَبْصِرْ يَوْمَ يَأْتُونَنَا لَكِنِ الظَّالِمُونَ الْيَوْمَ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ} অর্থাৎ, তারা যেদিন আমার নিকট আসবে সেদিন তারা কত স্পষ্ট শুনবে ও দেখবে! কিন্তু সীমালংঘনকারীগণ আজ স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে। (সূরা মারয়্যাম ১৯:৩৮ আয়াত)[২] অর্থাৎ, পৃথিবীতে আখেরাত সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে; বরং তারা অন্ধ। যেহেতু জ্ঞান ও বুদ্ধি-ভ্রষ্টতার কারণে তারা আখেরাতের বিশ্বাস হতে বঞ্চিত।