You are reading a tafsir for the group of verses 27:65 to 27:66
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৬৫-৬৬ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ তা'আলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তিনি যেন সারা জগতবাসীকে জানিয়ে দেন যে, অদৃশ্যের খবর কেউ জানে না। এখানে(আরবি) হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন মানব, দানব এবং ফেরেশতা গায়েব বা অদৃশ্যের খবর জানে না। যেমন আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তার নিকটই গায়েব বা অদৃশ্যের চাবিকাঠি রয়েছে, তিনি ছাড়া ওটা কেউ জানে না।” (৬:৫৯) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “কিয়ামতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকট রয়েছে, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন।” (৩১:৩৪) এই বিষয়ের আরো বহু আয়াত রয়েছে। আল্লাহ তা'আলার উক্তিঃ তারা জানে না তারা কখন পুনরুত্থিত হবে। কিয়ামতের সময় কখন হবে তা আসমান ও যমীনের অধিবাসীদের কেউই জানে না। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “আসমান ও যমীনে এই ইলম বা জ্ঞান (সবারই উপর) মুশকিল ও ভারী, ওটা তো আকস্মিকভাবে তোমাদের নিকট এসে পড়বে।” (৭: ১৮৭)হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ যে বলে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) আগামীকালের কথা জানতেন সে আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা'আলার উপর খুব বড় অপবাদ দিয়েছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ “(হে নবী সঃ)! তুমি বলে দাও যে, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না এবং তারা জানে না যে, তারা কখন পুনরুত্থিত হবে”। (এটা ইবনে আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)কাতাদা (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তাআলা তারকারাজির মধ্যে তিনটি উপকার রেখেছেন। তাহলো আকাশের সৌন্দর্য, পথভ্রান্তদেরকে পথ-প্রদর্শন এবং শয়তানদেরকে প্রহারকরণ। এগুলো ছাড়া তারকারাজির উপর অন্য কোন বিশ্বাস রাখা নিজের মতে কথা বানানো, কষ্ট উঠানো এবং নিজের অংশকে হারানো ছাড়া আর কিছুই নয়। অজ্ঞ লোকেরা তারকারাজির সাথে জ্যোতির্বিদ্যাকে দোদুল্যমান রেখে বাজে কথা বানিয়ে নিয়েছে যে, এই তারকার সময় যে বিয়ে করবে সে এইরূপ হবে। অমুক তারকার সময় সফর করলে এই হয়, অমুক নক্ষত্রের সময় সন্তান হলে এইরূপ হয় ইত্যাদি। তাদের এসব হলো অসম্ভব ও প্রতারণামূলক কথা। অধিকাংশ সময়ই তাদের কথার বিপরীত হয়ে থাকে। প্রত্যেক তারকার সময়েই কৃষ্ণবর্ণের, গৌরবর্ণের, বেঁটে, লম্বা, সুন্দর এবং কুৎসিত সন্তান জন্মগ্রহণ করেই থাকে। না কোন জন্তু অদৃশ্যের খবর জানে, না কোন পাখী দ্বারা অদৃশ্য জানা যায় এবং না কোন তারকা অদৃশ্যের খবর দিতে পারে। সবারই জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তা'আলার পক্ষ হতে এ ফায়সালা হয়েই গেছে যে, আসমান ও যমীনের সমস্ত সৃষ্টজীব অদৃশ্য হতে বে-খবর রয়েছে। তারা তো নিজেদের পুনরুত্থানের সময়ও অবহিত নয়।হযরত কাতাদা (রঃ)-এর এ উক্তিটি সত্যি সঠিকই বটে। এটা তাঁর খুবই উপকারী ও জ্ঞানগর্ভ উক্তি। এরপর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আখিরাত সম্পর্কে তাদের জ্ঞান তো নিঃশেষ হয়েছে। অন্যেরা (আরবি) পড়েছেন। অর্থাৎ আখিরাতের সঠিক সময় না জানার ব্যাপারে সবারই জ্ঞান সমান। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) হযরত জিবরাঈল (আঃ)-এর প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন- “আমার ও আপনার জ্ঞান এর জবাব দিতে অপারগ।” এখানেও বলা হয়েছেঃ আখিরাত সম্পর্কে তাদের জ্ঞান তো নিঃশেষ হয়ে গেছে। কাফিররা তাদের প্রতিপালক থেকে অজ্ঞ বলে তারা আখিরাতকেও অস্বীকারকারী! সেখান পর্যন্ত তাদের জ্ঞান পৌছেনি।একটি উক্তি এও আছে যে, আখিরাতে তারা এই জ্ঞান লাভ করবে বটে, কিন্তু তা হবে বৃথা। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ “যেদিন তারা আমার কাছে পৌছবে সেই দিন তারা বড়ই শ্রবণকারী ও দর্শনকারী হয়ে যাবে, কিন্তু আজ যালিমরা প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতার মধ্যে হবে।”অতঃপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ বরং তারা তো এ বিষয়ে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। এর দ্বারা কাফিরদেরকে বুঝানো হয়েছে। যেমন তিনি অন্য জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ তাদেরকে তোমার প্রতিপালকের নিকট হাযির করা হবে সারিবদ্ধভাবে এবং বলা হবেঃ তোমাদেরকে প্রথমবার যেভাবে সৃষ্টি করেছিলাম সেভাবেই তোমরা আমার নিকট হাযির হয়েছে; অথচ তোমরা মনে করতে যে, তোমাদের জন্যে প্রতিশ্রুত ক্ষণ আমি উপস্থিত করবো না।” (১৮:৪৮) উদ্দেশ্য এই যে, তোমাদের মধ্যে কাফিররা এটা মনে করতো। সুতরাং উপরোল্লিখিত আয়াতে যদিও(আরবি) টি (আরবি) -এর দিকে ফিরেছে, কিন্তু উদ্দেশ্য কাফিরই বটে! এ জন্যেই শেষে আল্লাহ তা'আলা বলেছেন: বরং এ বিষয়ে তারা অন্ধ। তারা চক্ষু বন্ধ করে রেখেছে।