undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

ঘোষণা করা হয়েছে যে, আল্লাহ তিনিই যিনি স্বীয় পূর্ণ ক্ষমতাবলে সৃষ্টজীবকে বিনা নমুনায় সৃষ্টি করেছেন ও করতে রয়েছেন। অতঃপর এগুলো ধ্বংস করে দিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করবেন। সুতরাং হে কাফিরের দল! যিনি প্রথমবার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি যে দ্বিতীয়বারও সৃষ্টি করতে সক্ষম এটা তোমরা মানছো না কেন? কেননা, দ্বিতীয়বারের সৃষ্টি তো প্রথমবারের সৃষ্টি অপেক্ষা বহুগুণে সহজ। আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ করা, জমি হতে ফসল উৎপাদন করা এবং আকাশ ও পৃথিবী হতে তোমাদেরকে জীবনোপকরণ দান করা তাঁরই কাজ। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “শপথ আসমানের, যা ধারণ করে বৃষ্টি, এবং শপথ যমীনের, যা বিদীর্ণ হয়।” (৮৬:১১-১২) আর এক জায়গায় রয়েছে (আরবি)অর্থাৎ “তিনি প্রত্যেক ঐ জিনিসকে জানেন যা যমীনের মধ্যে প্রবেশ করে এবং যা ওর থেকে বের হয়, আর যা আকাশ হতে অবতীর্ণ হয় এবং যা ওর উপর উঠে যায়।” (৩৪: ২) সুতরাং মহিমান্বিত আল্লাহই আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণকারী, ওটাকে যমীনে এদিক হতে ওদিকে প্রেরণকারী এবং এর মাধ্যমে নানা প্রকারের ফল, ফুল, শস্য এবং ঘাসপাতা উদ্গতকারী, যা মানুষের নিজেদের ও তাদের জন্তুগুলোর জীবিকা। নিশ্চয়ই জ্ঞানবানদের জন্যে এগুলো আল্লাহ তা'আলার বড় বড় নিদর্শনাবলী বটে।আল্লাহ তাআলা নিজের এসব শক্তি এবং এসব মূল্যবান অনুগ্রহের বর্ণনা দেয়ার পর প্রশ্নের সুরে বলেনঃ “এসব কাজে আল্লাহর সাথে অন্য কেউ শরীক আছে কি? যার ইবাদত করা যেতে পারে? যদি তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্যদেরকে মা'বূদ রূপে মেনে নেয়ার দাবীকে দলীল দ্বারা প্রমাণ করতে পার তবে দলীল পেশ কর।” কিন্তু তাদের নিকট কোনই দলীল নেই বলে আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে ডাকে অন্য মাবুদকে, ঐ বিষয়ে তার নিকট কোন সনদ নেই; তার হিসাব তার প্রতিপালকের নিকট আছে; নিশ্চয়ই কাফিররা সফলকাম হবে না।” (২৩: ১১৭)