আল্লাহ তাআলা স্বীয় রাসূল (সঃ)-কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ “হে রাসূল (সঃ)! তুমি বলে দাও যে, সমস্ত প্রশংসার যোগ্য একমাত্র আল্লাহ। তিনিই তাঁর। বান্দাদেরকে, অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। তিনি মহৎ গুণাবলীর অধিকারী। তাঁর নাম উচ্চ ও পবিত্র।” তিনি স্বীয় নবী (সঃ)-কে আরো হুকুম করছেনঃ “তুমি আমার মনোনীত বান্দাদের প্রতি সালাম (শান্তি) পৌছিয়ে দাও। আঁরা হলেন তাঁর রাসূল ও নবীগণ। তাঁদের সবারই প্রতি উত্তম দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক। আব্দুর রহমান ইবনে যায়েদ ইবনে আসলাম (রঃ) বলেন যে, আল্লাহ তা'আলার এ উক্তিটি তার নিমের উক্তির মতইঃ (আরবি)অর্থাৎ “যারা যা আরোপ করে তা হতে পবিত্র ও মহান তোমার প্রতিপালক, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলদের প্রতি! প্রশংসা জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই প্রাপ্য।” (৩৭: ১৮০-১৮২)আল্লাহ তা'আলার মনোনীত বান্দাদের দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর সাহাবীদেরকে (রাঃ) বুঝানো হয়েছে এবং নবীরাও (আঃ) তাঁদের অন্তর্ভুক্ত এটা তো বলাই বাহুল্য।মহামহিমান্বিত আল্লাহ স্বীয় নবীদেরকে এবং তাঁদের অনুসারীদেরকে বাঁচিয়ে নেয়া ও তাদের বিরুদ্ধাচরণকারীদেরকে ধ্বংস করে দেয়ার নিয়ামত বর্ণনা করার পর নিজের প্রশংসা কীর্তনের ও তাঁর সৎ বান্দাদের প্রতি সালাম প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর প্রশ্ন হিসেবে মুশরিকদের ঐ কাজের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছেন যে, তারা তাঁর ইবাদতে অন্যদেরকে শরীক করছে যা থেকে তিনি পবিত্র ও মুক্ত।