You are reading a tafsir for the group of verses 27:22 to 27:26
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

২২-২৬ নং আয়াতের তাফসীরহুদহুদ তার অনুপস্থিতির অল্পক্ষণ পরেই এসে পড়লো এবং আরয করলোঃ “হে আল্লাহর নবী (আঃ)! যে সংবাদ আপনি অবগত নন সেই সংবাদ নিয়ে আমি আপনার নিকট উপস্থিত হয়েছি। আমি সাবা (একটি দেশের নাম) হতে আসলাম এবং সেখান থেকে নিশ্চিত সংবাদ নিয়ে এসেছি। একজন নারী তাদের উপর রাজত্ব করছে।” তার নাম ছিল বিলকীস বিনতে শারাহীল। সে ছিল সাবা দেশের সম্রাজ্ঞী। কাতাদা (রঃ) বলেন যে, তার মা জ্বিনিয়্যাহ নারী ছিল। তার পায়ের পিছন ভাগ চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষুরের মত ছিল।অন্য একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, বিলকীসের মায়ের নাম ছিল কারেআহ। ইবনে জুরায়েজ (রঃ) বলেন যে, তার পিতার নাম ছিল যীশারখ এবং মাতার নাম ছিল বুলতাআহ। তার লাখ লাখ লোক-লশকর ছিল। হুদহুদ বললোঃ “তাদের উপর একজন নারীকে আমি রাজত্ব করতে দেখেছি। তার উপদেষ্টা ও উযীরের সংখ্যা তিনশ বারো জন। তাদের প্রত্যেকের অধীনে দশ হাজারের একটি করে দল রয়েছে। তার (বাস) ভূমির নাম ছিল মারিব, যাসানআ হতে তিন মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। এই উক্তিটিই বেশী গ্রহণযোগ্য। ওর অধিকাংশ ইয়ামন রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক সঠিক জ্ঞানের অধিকারী।পার্থিব প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সবই তাকে দেয়া হয়েছে। তার একটি সুদৃশ্য ও বিরাট সিংহাসন রয়েছে। ঐ সিংহাসনে সে বসে। সিংহাসনটি স্বর্ণ দ্বারা মণ্ডিত ছিল এবং দামী দামী পাথর দ্বারা কারুকার্য খচিত। ওটার উচ্চতা ছিল আশি হাত এবং প্রস্থ ছিল চল্লিশ হাত। ছয়শ' জন নারী সদা-সর্বদা তার খিদমতে নিয়োজিত থাকতো। তার দিওয়ানে খাস, যার মধ্যে এ সিংহাসনটি ছিল, খুবই বড় প্রাসাদ ছিল। প্রাসাদটি ছিল খুবই প্রশস্ত, উঁচু, মযবূত এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ওর পূর্ব অংশে তিনশ’ ষাটটি তাক বা খিলান ছিল। অনুরূপ সংখ্যক তাক পশ্চিম অংশেও ছিল। ওটাকে এমন শিল্পচাতুর্যের সাথে নির্মাণ করা হয়েছিল যে, প্রত্যহ সূর্য একটি তাক দিয়ে উদিত হতো এবং ওর বিপরীত দিকের তাক দিয়ে অস্তমিত হতো। দরবারের লোকেরা সকাল সন্ধ্যায় তাকে সিজদা করে নিতো। রাজা-প্রজা সবাই ছিল সূর্যপূজক। আল্লাহর উপাসক তাদের মধ্যে একজনও ছিল না। শয়তান তাদের কার্যাবলী তাদের নিকট শোভনীয় করে তুলতো। সে তাদেরকে সৎপথ হতে নিবৃত্ত করতো। ফলে তারা সৎ পথে আসতোই না। সৎ পথ তো এটাই যে, শুধু আল্লাহর সত্তাকেই সিজদার উপযুক্ত মনে করা হবে, সূর্য, চন্দ্র এবং তারকারাজীকে নয়। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে রজনী ও দিবস, সূর্য ও চন্দ্র। তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও না; সিজদা কর আল্লাহকে, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত কর।”(৪১:৩৭)। কোন কোন কারী(আরবি) এইরূপ পড়েছেন। (আরবি) এর পরে (আরবি) উহ্য রয়েছে। অর্থাৎ “হে আমার কওম! সাবধান, সিজদা শুধু আল্লাহর জন্যেই করবে যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর লুক্কায়িত বস্তুকে প্রকাশ করেন।” (আরবি)-এর তাফসীর পানি, বৃষ্টি ও উৎপাদন দ্বারাও করা হয়েছে। যে হুদহুদের মধ্যে এই বিশেষণই ছিল তার উদ্দেশ্য যে এটাই হবে এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই। ঘোষিত হয়েছেঃ তোমরা যা গোপন কর এবং যা ব্যক্ত কর তিনি সবই জানেন। প্রকাশ্য ও গোপনীয় সবই তাঁর কাছে সমান। তিনি একাই প্রকৃত মা’রূদ। তিনিই মহা আরশের অধিপতি। যার চেয়ে বড় আর কোন জিনিস নেই। যেহেতু হুদহুদ কল্যাণের দিকে আহ্বানকারী, এক আল্লাহর ইবাদতের হুকুমদাতা এবং তিনি ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে সিজদা করতে বাধাদানকারী, সেই হেতু তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ উঠিয়ে নেয়া হয়। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) চারটি প্রাণীকে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন, সেগুলো হলোঃ পিপীলিকা, মৌমাছি, হুদহুদ এবং সুবৃদ্ অর্থাৎ লাটুরা। (এ হাদীসটি মুসনাদে আহমাদ, সুনানে আবি দাউদ ও সুনানে ইবনে মাজাহতে বর্ণিত হয়েছে)

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%