You are reading a tafsir for the group of verses 22:5 to 22:7
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৫-৭ নং আয়াতের তাফসীর: যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে তাদের সামনে আল্লাহ তাআলা দলীল পেশ করছেনঃ তোমরা তোমাদের পুনর্জীবনকে অস্বীকার করলে আমি তোমাদেরকে তোমাদের প্রথম বারের সষ্টির কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তোমরা তোমাদের মূল সম্পর্কে একটু চিন্তা করে দেখো তো! আমি তোমাদেরকে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি অর্থাৎ তোমাদের আদি পিতা হযরত আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করেছি মাটি দ্বারা তোমরা হলে তারই বংশধর। অতঃপর তোমাদের সকলকে আমি তুচ্ছ পানির ফোটার মাধ্যমে সৃষ্টি করেছি। প্রথমে ওটা রক্ত পিণ্ডের রূপ ধারণ করে। তারপর ওটা মাংস পিণ্ড হয়। চল্লিশ দিন পর্যন্ত তো ঐ শুক্র নিজের আকারেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরপর আল্লাহর হুকুমে ওটা রক্ত পিণ্ড হয়। আরো চল্লিশ দিন পরে ওটা একটা মাংস খণ্ডের রূপ ধারণ করে। তখনও ওকে কোন আকার বা রূপ দেয়া হয় না অতঃপর মহান আল্লাহ ওকে রূপ দান করেন। তাতে তিনি মাথা, হাত, বুক, পেট, উরু, পা এবং সমস্ত অঙ্গ গঠন করেন। কখনো কখনো এর পূর্বেই বাচ্চা পড়ে যায়। হে মানুষ! এটা তো তোমাদের পর্যবেক্ষণ করার বিষয়। কখনো আবার ঐ বাচ্চা পেটের মধ্যে স্থিতিশীল হয়। যখন ঐ পিণ্ডের উপর চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয় তখন আল্লাহ তাআলা একজন ফেরেশতা পাঠিয়ে দেন তিনি ওটাকে ঠিকঠাক করে তাতে রূহ ঠুকে দেন এবং আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী সুশ্রী, কুশ্রী, পুরুষ, স্ত্রী, বানিয়ে দেন। আর রিক, আজল, ভাল ও মন্দ তখনই লিখে দেন।হযরত ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সঃ), যিনি সত্যবাদী ও সত্যায়িত, আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেনঃ “তোমাদের সৃষ্টি (সূত্র) চল্লিশ রতি (দিন) পর্যন্ত তোমাদের মায়ের পেটে জমা হয়। অতঃপর চল্লিশ দিন পর্যন্ত রক্ত পিণ্ডের আকারে থাকে। তারপর চল্লিশ দিন পর্যন্ত মাংস পিণ্ডের আকারে অবস্থান করে। এরপর একজন ফেরেশতাকে চারটি জিনিস লিখে দেয়ার জন্যে পাঠানো হয়। তা হলো রিক, আমল, আজল (মৃত্যু) এবং সৌভাগ্যবান বা হতভাগ্য হওয়া। তারপর তাতে রূহ, ফুকে দেয়া হয়। (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন)হযরত আলকামা (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেনঃ “শুক্র গর্ভাশয়ে পড়া মাত্রই ফেরেশতা জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! এটা সৃষ্টি হবে কি হবে না?” উত্তরে অস্বীকৃতি জানানো হলে ঐ শুক্র গর্ভাশয়ে জমাই হয় না। রক্তের আকারে গর্ভাশয় হতে ওটা বেরিয়ে যায়। আর যদি ওটা সৃষ্ট হওয়ার নির্দেশ হয় তবে ফেরেশতা জিজ্ঞেস করেনঃ “ছেলে হবে, না মেয়ে হবে? সৎ হবে না অসৎ হবে? এর আয়ুষ্কাল কত? এর ক্রিয়া কি? এর মৃত্যু কোথায় হবে?” তার পর শুক্রকে জিজ্ঞেস করা হয়ঃ “তোমার প্রতিপালককে?” সে উত্তর দেয়ঃ “আল্লাহ।” আবার জিজ্ঞেস করা। হয়ঃ “তোমার রিযুকদাতা কে?” উত্তরে সে বলেঃ “আল্লাহ।” অতঃপর ফেরেশতাকে বলা হয় “তুমি (মূল) কিতাবের কাছে যাও। সেখানে তুমি এই শুক্রের সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবে। এরপর সে সৃষ্ট হয়, তকদীরে লিখিত জীবন যাপন করে, লিখিত রিক পেয়ে থাকে, নির্ধারিত জায়গায় চলাফেরা করে, তারপর মৃত্যু আসে এবং তকদীরে লিখিত জায়গায় সমাধিস্থ হয়।" অতঃপর বর্ণনাকারী আমির শাবী (রঃ) উপরোক্ত আয়াত (আরবী) (২২:৫) পাঠ করেন। (এটা ইনু আবি হাতিম (রঃ) ও ইবনু জারীর (রঃ) বর্ণনা করেছেন) মাংস পিণ্ড হওয়ার পর চতুর্থ সৃষ্টির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয় এবং আত্মা বিশিষ্ট হয়ে যায়।হযরত হুযাইফা ইবনু উসায়েদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “শুক্র গর্ভাশয়ে চল্লিশ দিন বা পঁয়তাল্লিশ দিন স্থিত হওয়ার পর ফেরেশতা শুক্রের কাছে আসেন এবং বলেনঃ “হে আমার প্রতিপালক! এটা কি হতভাগ্য না সৌভাগ্যবান?” উত্তরে যা বলা হয় তা তিনি লিখে নেন। আবার ফেরেশতা প্রশ্ন করেনঃ “ছেলে, না মেয়ে?” জবাবে যা বলা হয় তা তিনি লিপিবদ্ধ করেন। তারপর তার আমল, ক্রিয়া, রিক এবং আয়ুষ্কাল লিখে নেয়া হয়। অতঃপর সাহীফা (পুস্তিকা) গুটিয়ে নেয়া হয়। এতে কোন কম বেশী করা সম্ব নয়।” (এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন) এরপর ওটা শিশুরূপে জন্ম গ্রহণ করে। ঐ সময় না থাকে তার কোন জ্ঞান এবং না থাকে কোন বোধশক্তি। অত্যন্ত দূর্বল থাকে এবং অঙ্গ প্রত্যঙ্গে কোন শক্তি থাকে না। তারপর আল্লাহ পাক তাকে বড় করতে থাকেন এবং পিতা মাতার অন্তরে তার প্রতি দয়া ও মমতা দিয়ে দেন। তারা সব সময় তারই চিন্তায় নিমগ্ন থাকে। বহু কষ্ট সহ্য করে তারা তাকে লালন পালন করে। অতঃপর সে যৌবনে পদার্পণ করে এবং সুন্দর রূপ ধারণ করে। কেউ কেউ তো যৌবন অবস্থাতেই মত্যর ডাকে সাড় দেয়। কেউ কেউ তো অতি বার্ধক্যে পৌঁছে যায়। তখন তার জ্ঞান বুদ্ধিও লোপ পায় এবং শিশুর মত দুর্বল হয়ে পড়ে। পূর্বের সমস্ত জ্ঞান সে হারিয়ে ফেলে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “আল্লাহ তিনিই যিনি তোমাদেরকে দুর্বলতা হতে সৃষ্টি করেছেন, আবার দুর্বলতার পরে সবলতা দান করেছেন, পুনরায় সবলতার পর তিনি দুর্বলতা ও বার্ধক্যে আনয়ন করে থাকেন, তিনি যা কিছু চান সৃষ্টি করেন, তিনি সর্বজ্ঞাতা, পূর্ণ ক্ষমতাবান।" (৩০:৫৪)হযরত আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “শিশু যে পর্যন্ত যৌবনে পদার্পণ না করে সে পর্যন্ত তার সৎ কার্যাবলী তার পিতা মাতার আমল নামায় লিপিবদ্ধ করা হয়। আর তার দুষ্কার্যাবলী তার নিজের আমল নামায়ও লিখা হয় না এবং তার পিতামাতার আমল নামায়ও নয়। যৌবনে পদার্পণ করা মাত্রই কলম তার উপর চলতে থাকে। তার সাথে অবস্থানকারী ফেরেশতাদ্বয়কে তার হিফাযত করার নির্দেশ দেয়া হয়। সে যখন ইসলামের অবস্থাতেই চল্লিশ বছর বয়সে পৌঁছে তখন আল্লাহ তাআলা তাকে তিনটি মসীবত হতে পরিত্রাণ দিয়ে থাকেন। তাহলে উন্মাদনা, কুষ্টরোগ, ও ধবল কুষ্ঠ। আল্লাহর দ্বীনের উপর যখন তার বয়স পঞ্চাশ বছরে উপনীত হয় তখন আল্লাহ পাক তার হিসাব হাল্কা করে দেন। তার বয়স ষাট হলে তখন মহান আল্লাহ তার সন্তুষ্টিপূর্ণ ও পছন্দনীয় কাজের দিকে তার প্রকৃতিকে ঝুঁকিয়ে দেন এবং তার মনের আকর্ষণ তার নিজের দিকে করে দেন। যখন সে সত্তর বছর বয়সে উপনীত হয় তখন আকাশের ফেরেশতারা তার সাথে ভালবাসা স্থাপন করতে শুরু করেন। যখন তার বয়স আশি হয় তখন আল্লাহ তাআলা তারপুণ্যগুলি লিখেন বটে, কিন্তু পাপগুলি ক্ষমা করে দেন। যখন সে নব্বই বছর বয়সে পৌঁছে তখন আল্লাহ তাআলা তার পুর্বের ও পরের সমস্ত পাপ মার্জনা করে দেন এবং তার পরিবারের লোকদের জন্যে তাকে সুপারিশকারী বানিয়ে দেন। আল্লাহর কাছে সে ‘আমীনল্লাহ (আল্লাহর বিশ্বস্ত) উপাধি প্রাপ্ত হয় এবং যমীনে আল্লাহর বন্দীদের মত থাকে। যখন সে হীনতম বয়সে পৌছে যায় এবং সম্পূর্ণরূপে অকেজো হয়ে পড়ে, আর তার অবস্থা এমনই হয় যে, যা কিছু সে জানতো সে সম্বন্ধে মোটেই সজ্ঞান থাকে না, তখন সুস্থ ও সজ্ঞান অবস্থায় যা কিছু ভাল কাজ সে করতো তা সব কিছুই বরাবরই তার আমল নামায় লিপিবদ্ধ হতে থাকে। আর কোন দুষ্কর্ম তার দ্বারা হয়ে গেলে তা লিখা হয় না।” (হাদীসটি হাফিয আবু ইয়া’লা আহমাদ ইনু আলী ইবনু মুনা আল মুল্লিী (রঃ) স্বীয় মুসনাদে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি খুবই গরীব বা দুর্বল এবং এতে কঠিন অস্বীকৃতি রয়েছে। এতদসত্ত্বে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বল (রঃ) এটা স্বীয় মুসনাদে আনয়ন করেছেন। মার রূপে এনেছেন এবং মাওকুফ রূপেও এনেছেন। হযরত আনাস (রাঃ) হতেই অন্য সনদে মার রূপে এটা আনয়ন করেছেন। হাফিজ আবু বকর ইবনু বাযযারও (রঃ) হযরত আনাস ইবনু মালিকের (রাঃ) রিওয়াইয়াতের মাধ্যমে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন। আর মুসলমানদের উপর মহান প্রতিপালকের মেহেরবানীর দাবীও এটাই বটে। আল্লাহ তাআলা আমাদের বয়সকে পুণ্যের সাথে বরকত দান করুন। আমীন)মৃতকে জীবিত করার উপরোক্ত দলীল বর্ণনা করার পর আল্লাহ তাআলা। এর আর একটি দলীল বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ তোমরা ভূমি দেখে থাকো শুষ্ক, অতঃপর ওতে আমি বারি বর্ষণ করি। ফলে তা শস্য-শ্যামল হয়ে আন্দোলিত ও স্ফীত হয় এবং উদগত করে সর্বপ্রকারের নয়নাভিরাম উদ্ভিত। যেখানে কিছুই ছিল না সেখানে সবকিছুই হয়ে যায়। মৃত ভূমি জীবনের প্রশস্ত শ্বাস গ্রহণ করতে শুরু করে। যেখানে ভয় লাগছিল সেখানে এখন আত্মার আনন্দ, চক্ষুর জ্যোতি এবং অন্তরের খুশী বিদ্যমান। নানা প্রকারের টক-মিষ্টি, সুস্বাদু ও সৌন্দর্যপূর্ণ ফলে গাছ ভর্তি হয়ে গেছে। ছোট ছোট সুন্দর গাছগুলি বসন্তকালে সৌন্দর্য প্রদর্শন করে চক্ষু জুড়িয়ে দিচ্ছে! এটাই ঐ মৃত যমীন যেখান হতে কাল পর্যন্ত ধূলো উড়ছিল, আর আজ হয়ে গেল ওটা মনের আনন্দও চোখের জ্যোতি। আজ ওটা স্বীয় জীবনের যৌবনের স্বাদ গ্রহণ করেছে। ফুলের ছোট ছোট চারাগুলির সুগন্ধে মন মস্তিষ্ক সতেজ হয়ে উঠেছে। দূর হতে প্রবাহিত সুগন্ধযুক্ত মৃদু মন্দ বায়ু মন মাতিয়ে তুলেছে। সুতরাং কতই না মহান ঐ আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্যে। এটা বাস্তব কথা যে, নিজের ইচ্ছামত সৃষ্টিকারী একমাত্র তিনিই। এ ব্যাপারে তিনি সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী তিনিই। প্রকৃত শাসনকর্তা ও বিচারক তিনিই বটে। তিনিই মৃতকে পুনর্জীবন দানকারী। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ হচ্ছে মৃত ও শুষ্ক যমীনকে পুনরায় শ্যামল সবুজ করে তোলা। এটা মানুষের চোখের সামনে রয়েছে। তিনি সব কিছুর উপর বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। তিনি যা চান তাই হয়ে যায়। যখন তিনি কোন কাজের ইচ্ছা করেন তখন বলেনঃ হয়ে যাও'। তিনি এ কথা বলার সাথে সাথেই ওটা হয়ে যাবে না এটা অসম্ভব।মহান আল্লাহ বলেনঃ কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী, এতে কোন সন্দেহ নেই এবং যারা কবরে রয়েছে তাদেরকে তিনি নিশ্চয় পুনরুত্থিত করবেন। তিনি অস্তিত্ব হীনতা হতে অস্তিত্বে আনয়নে সক্ষম। এ কাজে তিনি পূর্ণ ক্ষমতাবান পূর্বেও ছিলেন, এখনও আছেন এবং পরেও থাকবেন। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সে আমার সম্বন্ধে উপমা রচনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টির কথা ভুলে যায়; সে বলেঃ অস্থিতে প্রাণ সঞ্চার করবে কে যখন ওটা পচে গলে যাবে? তুমি বলে দাওঃ ওর মধ্যে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই যিনি ওটা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি সৃষ্টি সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত। তিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি উৎপাদন করেন এবং তোমরা তা দ্বারা প্রজ্জ্বলিত কর।” (৩৬:৭৮-৮০) এই ব্যাপারে আরো বহু আয়াতও রয়েছে।হযরত লাকীত ইবনু আমির (রাঃ) যিনি আবু রাযীন আকীলী উপনামে প্রসিদ্ধ ছিলেন, একদা রাসূলুল্লাহকে (সঃ) জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কিয়ামতের দিন আমরা সবাই কি মহামহিমান্বিত আল্লাহকে দেখতে পাবো? তাঁর সৃষ্ট বস্তুর মধ্যে এর কোন নমুনা আছে কি?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “তোমরা সবাই কি চন্দ্রকে সমানভাবে দেখতে পাও না?" হযরত লাকীত (রাঃ) জবাব দেনঃ “হা দেখতে পাইতো।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “আল্লাহ তাআলা তো বড়ই শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী (সুতরাং কেন তাঁকে দেখতে পাবে না)।" হযরত লাকীত (রাঃ) আবার জিজ্ঞেস করেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! 'মৃতকে জীবিত করার কোন প্রমাণ ও দৃষ্টান্ত দুনিয়ায় বিদ্যমান আছে কি?" রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর দেনঃ “তুমি কি এমন কোন অনাবাদ পতিত ভূমির মধ্য দিয়ে গমন কর নাই যা। এতো মৃত ও শুষ্ক হয়ে গিয়েছিল যে, সেখান থেকে ধূলো উড়তে শুরু করেছিল? তারপর কি তুমি দেখো নাই যে, ঐ ভূমিই শষ্য শ্যামল হয়ে উঠেছে। এবং নানা প্রকারের উদ্ভিদে পূর্ণ হয়ে গেছে?” তিনি জবাবে বলেনঃ “হাঁ।” রাসূলুল্লাহ (সঃ) তখন বলেনঃ “এভাবেই আল্লাহ তাআলা মৃতকে জীবিত করবেন।” (এটা ইমাম আহমাদ (রঃ) স্বীয় মুসনাদ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন) এ সব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সর্বাধিক জ্ঞান রাখেন।হযরত মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেনঃ “যে ব্যক্তি এই বিশ্বাস রাখে যে, আল্লাহ প্রকাশ্য সত্য, কিয়ামত অবশ্য অবশ্যই সংঘটিত হবে এবং আল্লাহ তাআলা মৃতদেরকে কবর হতে নিশ্চয়ই পুনরুত্থিত করবেন সে নিঃসন্দেহে জান্নাতী"। (এটা ইবন আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%