You are reading a tafsir for the group of verses 22:11 to 22:13
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১১-১৩ নং আয়াতের তাফসীর: মুজাহিদ (রঃ) ও কাতাদা (রঃ) বলেন যে, (আরবী) এখানে এর অর্থ হলো সন্দেহ। অন্যেরা বলেন যে, (আরবী) এর অর্থ হলো প্রান্ত। তারা যেন দ্বীনের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকে। উপকার হলে তা খুশীতে ফুলে ওঠে এবং ওর উপরই প্রতিষ্ঠিত থাকে। আর ক্ষতি হলে ওটা পরিত্যাগ করে পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়।হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, কেউ কেউ হিজরত করে মদীনায় গমন করতো। সেখানে গিয়ে যদি তার স্ত্রী সন্তান প্রসব করতো এবং জীবজন্তুতে ধন মালে বরকত হতো তখন বলতোঃ “এটা খুবই ভাল দ্বীন। আর এরূপ না হলে বলতোঃ “এই দ্বীন তো খুবই খারাপ।" (এটা ইমাম বুখারী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনু আববাস (রাঃ) হতেই আর একটি রিওয়াইয়াত আছে যে, তিনি বলেনঃ “আরবের লোকের (বেদুইনরা) নবীর (সঃ) কাছে আসতো এবং ইসলাম গ্রহণ করে ফিরে যেতো। অতঃপর মেঘ-বৃষ্টি পেলে এবং জীবজন্তু, ঘরবাড়ী ও মালধনে বরকত হলে খুশী হয়ে বলতোঃ “এই দ্বীন বড়ই উত্তম।" আর এর বিপরীত হলে বলতোঃ “এই দ্বীনে ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই নেই।” তখন (আরবী) এই আয়াত অবতীর্ণ হয়। (এটা ইবনু আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেছেন)আওফী (রঃ) হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, এ ধরনের লোকও ছিল যারা মদীনায় আসতো, অতঃপর সেখানে তাদের পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে, উষ্ট্রীর বাচ্চা হলে এবং স্বাস্থ্য ভাল থাকলে খুবই খুশী হতো; এই দ্বীনের পঞ্চমুখে প্রশংসা করতে শুরু করতে। আর কোন বালামসীবত আসলে, মদীনার আবহাওয়া স্বাস্থ্যের প্রতিকূল হলে, ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে এবং সাদকার মাল না পেলে শয়তানের ওয়াস ওয়াসায় পড়ে যেতো এবং পরিষ্কারভাবে বলে ফেলতোঃ “এই দ্বীনে তো শুধু কাঠিন্য ও দুর্ভোগই রয়েছে।”আবদুর রহমান ইবনু যায়েদ ইবনু আসলাম (রঃ) বলেন যে, এটা হলো মুনাফিকের স্বভাব। দুনিয়া পেয়ে গেলে তারা দ্বীনের উপর খুশী হয়। আর দুনিয়া হাসিল না হলে বা কোন পরীক্ষা এসে গেলে তারা হঠাৎ করে পট পরিবর্তন করে ফেলে এবং ধর্মত্যাগী হয়ে যায়। এরা হলো বড়ই দুর্ভাগা। তাদের ইহকাল ও পরকাল উভয়ই নষ্ট। এর চেয়ে বড় ধ্বংস ও ক্ষতি আর কি হতে পারে?আল্লাহর পরিবর্তে তারা যে সব ঠাকুর, মূর্তি ও বুযুর্গের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে, যাদের কাছে ফরিয়াদ করে এবং যাদের কাছে নিজেদের প্রয়োজন মিটাতে যায় ও রিযক চায় তারা তো নিজেরাই অপারগ। লাভ বা ক্ষতি করার কোন ক্ষমতাই তাদের নেই। এটাই হলো সবচেয়ে বড় পথভ্রষ্টতা। দুনিয়াতেও তারা এই সব দেবতার উপাসনা করে কোন উপকার পায় না, আর পরকালে কত বড় ক্ষতির সম্মুখীন তারা হবে তা বলবার নয়। এই মূর্তিগুলি তো তাদের অত্যন্ত মন্দ অভিভাবক ও খারাপ সঙ্গী বলে প্রমাণিত হবে। অথবা এর ভাবার্থ হচ্ছেঃ এরূপ যারা করে তারা নিজেরাই খুবই দুষ্ট প্রকৃতির ও মন্দ স্বভাবের লোক। কিন্তু প্রথম তাফসীরই উত্তম। এসব ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাই সবচেয়ে ভাল জানেন।

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%