You are reading a tafsir for the group of verses 21:26 to 21:29
وقالوا اتخذ الرحمان ولدا سبحانه بل عباد مكرمون ٢٦ لا يسبقونه بالقول وهم بامره يعملون ٢٧ يعلم ما بين ايديهم وما خلفهم ولا يشفعون الا لمن ارتضى وهم من خشيته مشفقون ٢٨ ۞ ومن يقل منهم اني الاه من دونه فذالك نجزيه جهنم كذالك نجزي الظالمين ٢٩
وَقَالُوا۟ ٱتَّخَذَ ٱلرَّحْمَـٰنُ وَلَدًۭا ۗ سُبْحَـٰنَهُۥ ۚ بَلْ عِبَادٌۭ مُّكْرَمُونَ ٢٦ لَا يَسْبِقُونَهُۥ بِٱلْقَوْلِ وَهُم بِأَمْرِهِۦ يَعْمَلُونَ ٢٧ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ٱرْتَضَىٰ وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِۦ مُشْفِقُونَ ٢٨ ۞ وَمَن يَقُلْ مِنْهُمْ إِنِّىٓ إِلَـٰهٌۭ مِّن دُونِهِۦ فَذَٰلِكَ نَجْزِيهِ جَهَنَّمَ ۚ كَذَٰلِكَ نَجْزِى ٱلظَّـٰلِمِينَ ٢٩
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

২৬-২৯ নং আয়াতের তাফসীর: মক্কার কাফিরদের ধারণা ছিল যে, ফেরেশতারা আল্লাহর কন্যা (নাউযুবিল্লাহ)। তাদের এই ধারণা খণ্ডন করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ফেরেশতারা তার সম্মানিত বান্দা। তারা বড়ই মর্যাদা সম্পন্ন। কথায় ও কাজে তারা সদা আল্লাহর আনুগত্যের কাজে নিমগ্ন রয়েছে। কোন সময়েই তারা আগে বেড়ে কথা বলে না, কোন কাজে তারা তাঁর আদেশের বিপরীতও করে না। বরং যা তিনি আদেশ করেন তা-ই তারা পালন করে। তারা আল্লাহর জ্ঞানের মধ্যে পরিবেষ্টিত। তাঁর কাছে কোন কিছুই গোপন নেই সামনের পিছনের ডানের ও বামের খবর তিনি রাখেন। অণু-পরমাণুর জ্ঞানও তার রয়েছে। এই পবিত্র ফেরেশতারাও এই সাহস রাখেন না যে, আল্লাহর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া কোন অপরাধীর জন্যে সুপারিশ করেন। যেমন তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করবে?” (২৪ ২৫৫) অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “যাকে তিনি অনুমতি দিবেন তার শাফাআত ছাড়া তাঁর কাছে আর কারো শাফাআত চলবে না।" (৩৪:২৩) এই বিষয়েই আরো বহু আয়াত কুরআন কারীমের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। ফেরেশতা মণ্ডলী এবং আল্লাহর নৈকট্যলাভকারী বান্দারা সবাই তার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় কাঁপতে থাকবেন। তাদের মধ্যে যে কেউই নিজে মা’বৃদ বলে দাবী করবে তাকে আল্লাহ প্রতিফল দিবেন জাহান্নাম। যালিমদেরকে তিনি এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহর একথাটি শর্ত সাপেক্ষ। আর শর্তের জন্যে ওটা সংঘটিত হওয়া জরুরী নয়। এটা জরুরী নয় যে, আল্লাহর বিশিষ্ট বান্দাদের মধ্যে কেউ এই ঘৃণ্য দাবী করে ও এইরূপ কঠিন শাস্তি ভোগ করে। যেমন কুরআন কারীমে ঘোষিত হয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “(হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাওঃ যদি আল্লাহর সন্তান হতো তবে আমিই হতাম প্রথম সেই বান্দা।" (৪৩:৮১) অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “(হে নবী (সঃ)!) যদি তুমি শিরু কর তবে অবশ্যই তোমার আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।" (৩৯:৬৫) সুতরাং আল্লাহ তাআলার সন্তান হওয়াও যেমন সম্ভব নয় তেমনই রাসূলুল্লাহর (সঃ) শিকও অসম্ভ।