You are reading a tafsir for the group of verses 20:92 to 20:94
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৯২-৯৪ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত মূসা (আঃ) ভীষণ ক্রোধ ও ক্ষোভের অবস্থায় ফিরে এসেছিলেন। তাওরাত লিখিত ফলক তিনি মাটিতে নিক্ষেপ করেন এবং নিজের ভাই হারূণের (আঃ) দিকে কঠিন রাগান্বিত অবস্থায় এগিয়ে যান এবং তার মাথার চুল ধরে নিজের দিকে টানতে থাকেন। এর বিস্তারিত বিবরণ সূরায়ে আ’রাফের তাফসীরে গত হয়েছে। সেখানে এ হাদীসটিও বর্ণিত হয়েছে যে, শোনা খবর দেখার মত নয়। হযরত মূসা (আঃ) তাঁর ভাই ও স্থলাভিষিক্ত হযরত হারূণকে (আঃ) তিরস্কার করতে শুরু করেন যে, ঐ মূর্তি পূজা শুরু হবার সময়ই কেন তিনি তাকে খবর দেন নাই? তবে কি তিনি তাঁর আদেশ অমান্য করেছেন। তিনি তাকে আরো বলেনঃ “আমি তো তোমাকে পরিষ্কার ভাবে বলে দিয়েছিলাম যে, তুমি আমার কওমের মধ্যে আমার। স্থলাভিষিক্তরূপে কাজ করবে, তাদেরকে সংশোধিত করবে এবং ফাসাদ ও বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের কথা মোটেই মানবে না? হযরত হারূণ (আঃ) উত্তরে বলেনঃ “হে আমার মায়ের পুত্র!" একথা তিনি এজন্যেই বলেছিলেন যাতে হযরত মূসার (আঃ) তাঁর উপর দয়া ও মমতা হয়। এটা নয় যে, তাদের পিতা আলাদা ছিলেন। তাদের উভয়েরই পিতাও একই এবং মাতাও একই। তারা ছিলেন একেবারে সহোদর ভাই। হযরত হারূণ (আঃ) ওজর পেশ করে বলেনঃ “আমি এটা মনেও করেছিলাম যে, আপনার কাছে গিয়ে আপনাকে এ সংবাদ অবহিত করি। কিন্তু আবার চিন্তা করলাম যে, এদেরকে এভাবে ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত হবে না। কেননা, এতে আপনি হয়তো অসন্তুষ্ট হতেন এবং বলতেনঃ “কেন তুমি এদেরকে ছেড়ে গেলে? হযরত ইয়াকূবের (আঃ) সন্তানদের মধ্যে কেন তুমি বিচ্ছিন্নতা আনয়ন করলে? এবং যা আমি তোমাকে বলে গিয়েছিলাম কেন তুমি তা পালন কর নাই।" প্রকৃত ব্যাপার এই যে, হযরত হারূণ (আঃ) ছিলেন হযরত মূসার (আঃ) অত্যন্ত অনুগত। তিনি হযরত মূসাকে (আঃ) অত্যন্ত সম্মান করতেন এবং তার মর্যাদার প্রতি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতেন।