You are reading a tafsir for the group of verses 20:65 to 20:70
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৬৫-৭০ নং আয়াতের তাফসীর: যাদুকররা হযরত মূসাকে (আঃ) বললোঃ হে মূসা (আঃ)! তুমি কি প্রথমে তোমার যাদুর ক্রিয়াকলাপ দেখাবে, না আমরাই প্রথমে দেখাবো?” উত্তরে হযরত মূসা (আঃ) বললেনঃ “তোমরাই প্রথমে দেখাও যাতে দুনিয়াবাসী দেখে নেয় যে, তোমরা কি করলে? অতঃপর আল্লাহ তাআলা তোমাদের কীর্তিকলাপকে কিরূপে মিটিয়ে দেন।” তখন যাদুকররা তাদের লাঠিগুলি ও রশিগুলি মাঠে নিক্ষেপ করলো। মনে হলো যেন ওগুলি সাপ হয়ে গিয়ে চলতে ফিরতে রয়েছে এবং ময়দানে দৌড়াতে শুরু করেছে। যাদুকররা বলতে লাগলোঃ “ফিরাউনের ভাগ্যগুণে আমরাই জয়যুক্ত হবো।" জনগণের চোখে যাদু করে তারা তাদেরকে ভীত সন্ত্রস্ত করে দিলো এবং যাদুর চরম ভেল্কী প্রদর্শন করলো। তারা সংখ্যায়ও ছিল অনেক। তাদের নিক্ষিপ্ত রশি ও লাঠির মাধ্যমে সারা মাঠ সাপে পরিপূর্ণ হয়ে গেল। এই দৃশ্য দেখে হযরত মূসা (আঃ) আতংকিত হয়ে উঠলেন যে, না জানি হয়তো জনগণ তাদের কলাকৌশল ও নৈপুণ্য দেখে তাদেরই দিকে ঝুঁকে পড়বে এবং মিথ্যার ফাঁদে আবদ্ধ হয়ে যাবে। তৎক্ষণাৎ মহান আল্লাহ তাঁর কাছে ওয়াহী পাঠালেনঃ “হে মূসা (আঃ)! তোমার লাঠিখানা তুমি ময়দানে নিক্ষেপ করো এবং মোটেই ভয় করো না।” তিনি হুকুম পালন করলেন। মহামহিমান্বিত আল্লাহর নির্দেশ ক্রমে ঐ লাঠিটি এক বিরাট অজগর সাপে রূপান্তরিত হলো। সাপটির পা, মাথা এবং দাতও ছিল। সে সবারই চোখের সামনে সারা ময়দান সাফ করে দিলো। মাঠে যাদুকরদের যাদুর যতগুলি সাপ ছিল সবকে গ্রাস করে ফেললো। এখন সবারই কাছে সত্য উদঘাটিত হয়ে গেল এবং তারা মুজিযা ও যাদুর পার্থক্য বুঝে নিলো এবং হক ও বাতিলের পরিচয় পেয়ে গেল। সবাই জানতে পারলো যে, যাদুকরদের সবকিছুই কৃত্রিম এবং তাতে বাস্তবতা কিছুই নেই। সুতরাং তারা যে পরাজিত হবে এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই।হযরত জুনদুব ইবনু আবদিল্লাহ আল বাজালী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “যাদুকরদেরকে যেখানেই পাও মেরে ফেলো।” অতঃপর তিনি এই বাক্যটি পাঠ করেন। (এ হাদীসটি ইবনু আবি হাতিম (রঃ) বর্ণনা করেন) অর্থাৎ তাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাবে নিরাপত্তা দান করা হবে না।যাদুকররা যখন এটা দেখলো তখন তাদের দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে গেল যে, এ কাজ মানবীয় শক্তির বাইরে। তারা ছিল যাদু বিদ্যায় পারদর্শী। প্রথম দর্শনেই তারা বুঝে নেয় যে, প্রকৃতপক্ষে এটা ঐ আল্লাহরই কাজ যার ফরমান অটল। তিনি যা কিছু চান তা তাঁর নির্দেশক্রমে হয়ে যায়। তাদের বিশ্বাস এতো দৃঢ় হয় যে, তৎক্ষণাৎ ঐ ময়দানেই সবারই সামনে বাদশাহর বিদ্যমানতায় তারা আল্লাহর সামনে সিজদায় পড়ে যায় এবং বলে ওঠেঃ “আমরা হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূণের (আঃ) প্রতিপালকের উপর ঈমান আনলাম। তিনিই হলেন বিশ্বপ্রতিপালক।” সুবহানাল্লাহ! সকালে যারা ছিল কাফির ও যাদুকর, সন্ধ্যায় তারা হয়ে গেল মু'মিন ও আল্লাহর পথের শহীদ! বর্ণিত আছে যে, তারা ছিল সংখ্যায় আশি হাজার। এটা মুহাম্মদ ইবনু কাবের (রাঃ) উক্তি। কাসিম ইবনু আবি বুয্যা (রাঃ) বলেন যে, তারা সংখ্যায় সত্তর হাজারের কিছু বেশী ছিল। সাওরী (রঃ) বলেন যে, ফিরাউনের যাদুকরদের সংখ্যা ছিল উনিশ হাজার। মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) বলেন যে, তারা সংখ্যায় পনরো হাজার ছিল। কাবুল আহবার (রঃ) বলেন যে, তারা ছিল বারো হাজার।হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তারা ছিল সত্তরজন। সকালে ছিল তার যাদুকর এবং সন্ধ্যায় হয়ে গেল শহীদ। ইমাম আওযায়ী (রঃ) বলেন যে, যখন তারা সিজদায় পড়ে যায় তখন আল্লাহ তাআলা তাদেরকে জান্নত দেখিয়ে দেন এবং তারা জান্নাতে নিজেদের স্থান স্বচক্ষে দেখে নেয়। (এটা ইবনু আবি হাতিম ও (রঃ) বর্ণনা করেছেন)