You are reading a tafsir for the group of verses 20:57 to 20:59
قال اجيتنا لتخرجنا من ارضنا بسحرك يا موسى ٥٧ فلناتينك بسحر مثله فاجعل بيننا وبينك موعدا لا نخلفه نحن ولا انت مكانا سوى ٥٨ قال موعدكم يوم الزينة وان يحشر الناس ضحى ٥٩
قَالَ أَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ أَرْضِنَا بِسِحْرِكَ يَـٰمُوسَىٰ ٥٧ فَلَنَأْتِيَنَّكَ بِسِحْرٍۢ مِّثْلِهِۦ فَٱجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدًۭا لَّا نُخْلِفُهُۥ نَحْنُ وَلَآ أَنتَ مَكَانًۭا سُوًۭى ٥٨ قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ ٱلزِّينَةِ وَأَن يُحْشَرَ ٱلنَّاسُ ضُحًۭى ٥٩
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

৫৭-৫৯ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেন যে, হযরত মূসার (আঃ) লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া এবং হাত উজ্জ্বল হওয়া ইত্যাদি মু'জিযা দেখে ফিরাউন তাকে বললোঃ “এটা তো যাদু ছাড়া কিছুই নয়। তুমি যাদুর জোরে আমাদের রাজ্য ছিনিয়ে নিতে চাও। তুমি অহংকার করো না। আমরাও এই যাদূতে তোমার মুকাবিলা করতে পারি। দিন ও জায়গা নির্ধারণ করা হোক এবং মুকাবিলা হোক। আমরাও ঐ দিনে ঐ জায়গায় যাবো এবং তুমিও যাবে। কেউ আসবে না। এটা যেন না হয়। খোলা মাঠে সবারই সামনে হার-জিত হবে।” হযরত মূসা (আঃ) তার এ কথার জবাবে বললেনঃ “আমি এটা মেনে নিলাম। আমার মতে এর জন্যে তোমাদের ঈদের দিনটিই নির্ধারিত হওয়া উচিত। কেননা, এটা অবকাশের দিন। সেই দিন সবাই একত্রিত হতে পারবে। সুতরাং তারা দেখে শুনে হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য দেখতে সক্ষম হবে। মুজিযা ও যাদু পার্থক্য সবারই উপর প্রকাশিত হয়ে পড়বে। সময়টা হতে হবে বেলা ওঠার সময়, যাতে যা কিছু ময়দানে আসবে সবাই তা দেখতে পায়।” হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন যে, তাদের ঐ ঈদ বা খুশীর দিনটি আশুরার দিন (১০ই মুহররম)। এটা স্মরণ রাখার বিষয় যে, এরূপ স্থলে নবীরা (আঃ) কখনো পিছনে সরে যান না। তারা এমন কাজ করেন যাতে সত্য পরিস্ফুট হয়ে ওঠে এবং সবারই উপর তা প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এজন্যেই তিনি প্রতিযোগিতার জন্যে তাদের ঈদের দিনটি ধার্য করেন। আর সময় নির্ধারিত করলেন বেলা ওঠার সময় এবং জায়গারূপে সমতল ভূমিকে নির্ধারণ করলেন যাতে সবাই দেখতে পায়। ফিরাউন অবকাশ চাইলো। কিন্তু হযরত মূসা (আঃ) অবকাশ দিতে অস্বীকার করলেন। তখন তার উপর ওয়াহী করা হলোঃ “সময় নির্ধারণ করে নাও।" ফিরাউন চল্লিশ দিনের অবকাশ চাইলো। তা মঞ্জুর করা হলো।