undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

যখন তোমার ভগ্নী এসে বলল, ‘আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব, কে এই শিশুর লালন-ভার নেবে?’[১] তখন আমি তোমাকে তোমার মায়ের নিকট ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চক্ষু জুড়ায় এবং সে দুঃখ না পায়। আর তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে; [২] অতঃপর আমি তোমাকে দুশ্চিন্তা হতে মুক্তি দিই এবং আমি তোমাকে বহু পরীক্ষায় ফেলি।[৩] অতঃপর তুমি কয়েক বছর মাদ্‌য়্যানবাসীদের মধ্যে অবস্থান করেছিলে,[৪] হে মূসা! এর পরে তুমি নির্ধারিত সময়ে[৫] উপস্থিত হলে।

[১] এটা ঐ সময়ের কথা যখন মূসা (আঃ)-এর মা কফিনটি সমুদ্রে ফেলে দিলেন এবং মেয়েকে বললেন, একটু লক্ষ্য রাখো যে, কোথায়, কোন তীরে গিয়ে পৌঁছে এবং ওর সাথে কি আচরণ করা হচ্ছে। আল্লাহর ইচ্ছায় যখন মূসা (আঃ) ফিরআউনের মহলে পৌঁছে গেলেন, তখন তিনি ছিলেন সবেমাত্র দুধ খাওয়ার শিশু। সাথে সাথে স্তন্যদাত্রী মহিলা ও আয়াদেরকে ডাকা হল; কিন্তু মূসা (আঃ) কারো স্তনবৃন্ত মুখে নিলেন না। এদিকে তাঁর বোন সব লক্ষ্য করছিলেন। পরিশেষে বললেন, 'আমি কি তোমাদেরকে এমন এক মহিলার কথা বলব, যে তোমাদের এই সমস্যা দূর করে দেবে?' তারা বলল, 'বল কে? নিয়ে এসো তাকে।' তৎক্ষণাৎ তিনি আপন মাকে (যিনি মূসা (আঃ)-এরও মা) ডেকে নিয়ে এলেন। যখন মা সন্তানকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিলেন, তখন মূসা আল্লাহর কৌশল ও ইচ্ছায় দুধ পান করতে শুরু করলেন।[২] এখানে অন্য একটি অনুগ্রহের কথা বলা হচ্ছে। আর তা হল, যখন মূসা (আঃ) ভুলক্রমে এক কিবতীকে এক ঘুসি মারলে সে মারা যায়। যার আলোচনা সূরা কাসাস ২৮:১৫ নং আয়াতে আসবে।[৩] فُتُون শব্দটি دخول وخروج শব্দ দু'টির মত ক্রিয়ামূল, এর অর্থ ابتَلَينَاكَ ابتِلاَء অর্থাৎ, আমি তোমার খুব পরীক্ষা নিয়েছি। অথবা তা فِتنَة শব্দের বহুবচন। যেমন, حجرة এর বহুবচন حجور ও بدرة এর বহুবচন بدور এসে থাকে। আর এর অর্থ হবে আমি তোমাকে বহুবার পরীক্ষায় ফেলেছি। উদাহরণ স্বরূপ যে বছর ছিল সন্তান হত্যার বছর সেই বছর আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছি। তোমার মা তোমাকে সমুদ্রের ঢেউয়ে ছেড়ে দিয়েছিল। সমস্ত দুধদানকারিণী মহিলাদের দুধ তোমার জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলাম। তুমি একদিন ফিরআউনের দাড়ি ধরে নেওয়ার কারণে সে তোমাকে হত্যার ইচ্ছা করেছিল। তোমার হাতে একজন কিবতী খুন হয়ে গিয়েছিল ইত্যাদি। কিন্তু সমস্ত পরীক্ষায় আমি তোমাকে সাহায্য ও উত্তীর্ণ করেছি।[৪] একজন কিবতীকে অনিচ্ছাকৃত মারার পর তুমি সেখান হতে বের হয়ে মাদয়্যান চলে গেলে এবং সেখানে কয়েক বছর কাটালে।[৫] তুমি এমন সময়ে এসে উপস্থিত হলে যে সময়টি আমি তোমার সাথে কথা বলার ও তোমাকে নবুঅত দান করার জন্য নির্ধারিত করেছিলাম। অথবা এখানে قَدَر অর্থ বয়স। অর্থাৎ, বয়সের এমন এক পর্যায়ে তুমি এলে, যে বয়স নবুঅতের জন্য উপযুক্ত; আর তা হল চল্লিশ বছর।

Maximize your Quran.com experience!
Start your tour now:

0%