ثم اجتباه ربه فتاب عليه وهدى ١٢٢
ثُمَّ ٱجْتَبَـٰهُ رَبُّهُۥ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدَىٰ ١٢٢
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

এরপর তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন। সুতরাং তিনি তার তওবা কবুল করলেন ও তাকে পথ নির্দেশ করলেন। [১]

[১] এখান থেকে কিছু লোক প্রমাণ করেন যে, আদমের উক্ত অবাধ্যাচরণ নবুঅতের আগের ঘটনা। পরবর্তীতে তাঁকে নবুঅত দান করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বিগত আলোচনায় অবাধ্যতার যে স্বরূপ ও বাস্তবিকতা বর্ণনা করেছি, তা নবুঅতের নিষ্কলুষতার প্রতিকূল নয়। কারণ এই প্রকার ভুল-ত্রুটি যার সম্বন্ধ আল্লাহর বার্তা পৌঁছানো ও শরীয়ত প্রচারের সাথে নয়; বরং তা ব্যক্তিগত কর্মের সাথে সম্পৃক্ত, তাও আবার তার কারণ ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা, তাহলে বাস্তবে তা অবাধ্যাচরণ বা পাপ নয়; যার কারণে মানুষ আল্লাহর শাস্তিযোগ্য গণ্য হয়। পরন্তু আদম (আঃ)-এর জন্য যে 'অবাধ্য' শব্দ ব্যবহার হয়েছে তা (আল্লাহর কাছে) তাঁর উচ্চ মর্যাদা ও উন্নত স্থান থাকার কারণে। যেহেতু বড়দের সামান্য ভুলও বড় বলে ধরা হয়। এই কারণে আলোচ্য আয়াতে (তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন) এর অর্থ এই নয় যে, উক্ত ভুলের পর তাঁকে নবুঅতের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। বরং এর অর্থ হল, লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার পর আবার তাঁকে সেই মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা হল; যা তিনি আগেই লাভ করেছিলেন। তাঁকে পৃথিবীতে অবতরণের ফায়সালা আল্লাহর ইচ্ছা, হিকমত ও কল্যাণময় রহস্যের ভিত্তিতেই ছিল। এখানে এটা মনে করা উচিত নয় যে, এ ফায়সালা আদমের প্রতি আল্লাহর ক্রোধের ফলস্বরূপ হয়েছিল।