You are reading a tafsir for the group of verses 20:113 to 20:114
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
undefined
3

১১৩-১১৪ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা বলেনঃ কিয়ামতের দিন অবশ্যই আসবে এবং সেইদিন ভাল ও মন্দ কাজের প্রতিফল অবশ্যই পেতে হবে, তাই আমি লোকদেরকে সতর্ক করার জন্যে সুসংবাদ দানকারী এবং ভীতি প্রদর্শনকারী আমার পবিত্র কালাম পরিষ্কার আরবী ভাষায় অবতীর্ণ করেছি যাতে মানুষ বুঝতে পারে। আমি তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয় প্রদর্শন করেছি যাতে তারা পাপ থেকে বাঁচতে পারে, কল্যাণ লাভের কাজে লেগে যায়, তাদের অন্তরে চিন্তা ভাবনা ও উপদেশ এসে যায়, তারা আনুগত্যের দিকে ঝুঁকে পড়ে এবং ভাল কাজের চেষ্টায় লেগে পড়ে। সুতরাং মহান ও পবিত্র ঐ আল্লাহ যিনি প্রকৃত অধিপতি। এবং ইহজগত ও পরজগতের একচ্ছত্র মালিক। তিনি স্বয়ং সত্য, তাঁর প্রতিশ্রুতি সত্য, তঁর ভয় প্রদর্শন সত্য, তাঁর রাসূলগণ সত্য এবং তার জান্নাত ও জাহান্নাম সত্য। তাঁর ফরমান এবং তার পক্ষ হতে যা কিছু হয় সবই ন্যায় ও সত্য। তাঁর সত্ত্বা এর থেকে পবিত্র যে, তিনি পূর্বে সতর্ক না করেই কাউকেও শাস্তি প্রদান করবেন। তিনি সবারই ওজরের সুযোগ কেটে দেন এবং কারো সন্দেহ তিনি বাকী রাখেন না। তিনি সত্য উদঘাটিত করেন। অতঃপর তিনি মুশরিকদেরকে ন্যায়ের সাথে শাস্তি প্রদান করে থাকেন।এরপর মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমার প্রতি আমার ওয়াহী সম্পূর্ণ হবার পূর্বে কুরআন পাঠে তুমি ত্বরা করে না। প্রথমে ভাল রূপে শুনে নাও। যেমন অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ “তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্যে তুমি তোমার জিহবা ওর সাথে সঞ্চালন করো না। এটা সংরক্ষণ ও পাঠ করাবার দায়িত্ব আমারই। সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি তুমি সেই পাঠের অনুসরণ কর। অতঃপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই।”হাদীসে আছে যে, প্রথম দিকে রাসূলুল্লাহ (সঃ) হযরত জিবরাঈলের (আঃ) সাথে সাথেই পড়তেন। তাতে তার খুব কষ্ট হতো। যখন উপরোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয় তখন তার থেকে ঐ কষ্ট দূর হয়ে যায় এবং তিনি প্রশান্তি লাভ করেন যে, আল্লাহ যতগুলিই ওয়াহী নাযিল করুন না কেন তার মুখস্থ। হবেই। একটা অক্ষরও তিনি ভুলবেন না। কেননা, আল্লাহ ওয়াদা করেছেন এবং তার ওয়াদা সত্য। এখানেও একথাই বলা হচ্ছে যে, তিনি যেন ফেরেশতার কুরআন পাঠ শ্রবণ করেন এবং তাঁর পাঠ শেষে যেন তিনি পাঠ শুরু করেন। আর তাঁর কর্তব্য হবে জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা। সুতরাং তিনি দুআ করেন এবং আল্লাহ তাআলা তার দুআ ককূল করেন। তাই, মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর ইলম বাড়তেই থাকে।হাদীসে আছে যে, বরাবরই পর্যায়ক্রমে ওয়াহী আসতে থাকে, এমনকি যেদিন তিনি দুনিয়া হতে চিরবিদায় গ্রহণ করেন সেদিনও বহু সংখ্যক ওয়াহী অবতীর্ণ হয়।হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলতেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আপনি যা আমাকে শিখিয়েছেন তা দ্বারা আমাকে উপকৃত করুন এবং আমাকে শিখিয়ে দিন যা আমার উপকার করে এবং আমার ইলম বৃদ্ধি করুন! আর সর্বাবস্থায় সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। (এ হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। জামে তিরমিযীতেও এ হাদীসটি রয়েছে। তাতে নিম্নের কথাটুকু বেশী রয়েছে; (আরবী) অর্থাৎ “আমি জাহান্নামবাসী অবস্থা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাচ্ছি)