৯০-৯১ নং আয়াতের তাফসীর হযরত শুআ’ইবের (আঃ) কওম তাকে বললো: হে শুআ’ইব (আঃ)! তোমার অধিকাংশ কথা আমাদের বোধগম্য হয় না। আর তুমি নিজেও আমাদের মধ্যে অত্যন্ত দুর্বল। হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইর (রঃ) এবং হযরত সাওরী (রঃ) বলেন যে, তাঁর দৃষ্টি শক্তি কম ছিল বলেই তাকে দুর্বল বলা হয়েছে। সাওরী (রঃ) বলেন যে, তাঁকে ‘খাতীবুল আমবিয়া’ (নবীদের ভাষণ দাতা) বলা হতো। কেননা, তাঁর ভাষণ ছিল অত্যন্ত পরিষ্কার। সুদী (রঃ) বলেন যে, তিনি একাকী ছিলেন বলেই তাঁকে তারা তুচ্ছ জ্ঞান করে দুর্বল বলেছিল। কেননা, তাঁর আত্মীয় স্বজনরাই তার ধর্মের উপর ছিল না। তারা তাকে বলেনঃ “তোমার ভ্রাতৃত্বের প্রতি লক্ষ্য না করলে আমরা তোমাকে পাথর মেরে চূর্ণ বিচুর্ণ করে দিতাম। বা তোমাকে মন খুলে গালমন্দ দিতাম। আমাদের মধ্যে তোমার কোন মর্যাদা নেই। তাদের একথা শুনে তিনি তাদেরকে বলেনঃ “ভাই সব! আমার ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার প্রতি লক্ষ্য করেই তোমরা আমাকে ছেড়ে দিচ্ছ, আল্লাহর জন্য নয়? তা হলে বুঝা যাচ্ছে যে, তোমাদের কাছে আত্মীয় সম্পর্ক আল্লাহ তাআ’লা অপেক্ষা বেশী গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর নবীকে কষ্ট দেয়ার ব্যাপারে তোমরা তাঁকেই ভয় করছো না? বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, তোমরা আল্লাহর কিতাবকে পশ্চাতে নিক্ষেপ করছে! তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও আনুগত্যের প্রতি তোমাদের কোন খেয়ালই নেই। ভাল কথা, আল্লাহ তাআ’লা তোমাদের অবস্থা পূর্ণরূপে অবগত রয়েছেন। তিনিই তোমাদের পুরোপুরি বদলা দান করবেন।